কবি সাহিত্যিকদের বিখ্যাত উক্তি
ক্রমিক নং
|
বিখ্যাত উক্তি
|
কবি / সাহিত্যিক / বক্তা
|
০১
|
যতদিন রবে পদ্মা-মেঘনা-গৌরি-যমুনা বহমান,
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
|
অন্নদাশঙ্কর রায়
|
০২
|
আধুনিক সভ্যতা দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ।
|
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
|
০৩
|
জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।
|
স্বামী বিবেকানন্দ
|
০৪
|
লোকে বলে, বলে-রে, ঘর-বাড়ি ভালা না আমার।
|
হাসন রাজা
|
০৫
|
মহাজ্ঞানী মহাজন
যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরণীয় ।
|
হেমচন্দ্র বন্দোপধ্যায়
|
০৬
|
কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদুর?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
|
শেখ ফজলুল করিম
|
০৭
|
সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।
|
শেখ ফজলুল করিম
|
০৮
|
লাগলে মাথায় বৃষ্টি-বাতাস
উল্টে কি যায় সৃষ্টি আকাশ?
|
শেখ ফজলুল করিম
|
০৯
|
বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর রে
এবার এসে গাঁয়।
|
শেখ ফজলুল করিম
|
১০
|
চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।
|
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
|
১১
|
যে জন দিবসে মনের হরষে, জ্বালায় মোমের বাতি,
আশু গৃহে তার, দেখিবে না আর, নিশীথে প্রদীপ ভাতি।
|
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
|
১২
|
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমলতুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
|
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
|
১৩
|
কেন পান্থ ক্ষান্থ হও হেরি দীর্ঘ পথ
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ।
|
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
|
১৪
|
ফুল ফুলতুলতুল গা ভেজা শিশিরে,
বুলবুল মশগুল কার গান গাহিরে ।
|
কালীপ্রসন্ন ঘোষ
|
১৫
|
পারিবনা একথাটি বলিও না আর,
কেন পারিবেনা তাহা ভাব একবার,
পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা,
পার কি না পার কর যতন আবার
একবার না পারিলে দেখ শতবার ।
|
কালীপ্রসন্ন ঘোষ
|
১৬
|
বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।
|
রজনীকান্ত সেন
|
১৭
|
কত রাজ্য,কত রাজা গড়িছ নিরবে
হে পূজ্য, হে প্রিয়।
একত্বে বরেণ্য তুমি, শরণ্য এককে,
আত্মার আত্মীয়।
|
অক্ষয়কুমার বড়াল
|
১৮
|
নানান দেশের নানা ভাষা,
বিনে স্বদেশি ভাষা,
পুরে কি আশা? (টপ্পা গান)
|
রামনিধি গুপ্ত
|
১৯
|
বাংলার কাব্য বাংলার ভাষা মিটায় আমার প্রাণের পিপাসা,
সে দেশ আমার নয় গো আপন, যে দেশে বাঙালি নেই।
|
রামনিধি গুপ্ত
|
২০
|
মোদের গরব, মোদের আশা
আ মরি বাংলা ভাষা।
|
অতুলপ্রসান সেন
|
২২
|
ফাঁসির মঞ্চ গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান আসি'
অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তা’রা, দিবে কোন বলিদান?
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৩
|
“হে মোর চিত্ত, পূণ্য তীর্থে
এই ভারতের মহামানবের
সাগরতীরে।”
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৪
|
তোমার ন্যায়ের দন্ড প্রত্যেকের করে
অর্পণ করেছে নিজে প্রত্যেকের পরে
দিয়েছে শাসনভার হে রাজাধিরাজ ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৫
|
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে, কবি এক জাগে;
কত কথা পুষ্প প্রায়, বিকশি তুলিতে চায় কত অনুরাগে ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৬
|
তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ
তাই তব জীবনের বথ
পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীর্তিরে তোমার বারংবার
চিহ্ন তব পড়ে আছে তুমি হেথা নাই ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৭
|
দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে
প্রিয়জনে যাহাদিতে পাই
তাই দেব দেবতারে ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৮
|
বিপদে মোরে রক্ষা কর
এ নহে মোর প্রার্থনা
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
২৯
|
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি
লভিলে শুধু বঞ্চনা
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩০
|
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,
কী ছিল বিধাতার মনে ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩১
|
ওরে নবীন' ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩২
|
মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান।
মেঘবরণ তুজ, শেঘ জটাজুন্ট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট,
তাপ বিমোচন করুন কোর তব
মৃত্যু-অমৃত করে দান ।
তুঁহু মম শ্যামসমান ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩৩
|
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,
কী ছিল বিধাতার মনে ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩৪
|
যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি,এবার পুঁজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩৫
|
উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই,
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই-তার ক্ষয় নাই ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩৬
|
মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩৭
|
যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি, এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি ।
|
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|
৩৮
|
ছিপখান তিন দাড় তিনজন মাল্লা
চৌপর দিন ভর দ্যায় দূর পাল্লা।
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
|
৩৯
|
মধুর চেয়ে আছে মধুর সে আমার এই দেশের মাটি
আমার দেশের পথের ধূলা খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
|
৪০
|
জোটে যদি মোটে একটি পয়সা,
খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি
দুটি যদি জোটে
ফুল কিনে নেও হে অনুরাগী ।
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
|
৪১
|
কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা বলে কুকুরে কামড়ান কি
মানুষের শোভা পায় ।
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
|
৪২
|
কোন দেশেতে তরুলতা
সকল দেশের চাইতে শ্যামল?
কোন দেশেতে চলতে গেলে
দলতে হয়রে দুর্বা কমল?
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
|
৪৩
|
এমন যদি হত
ইচ্ছে হলেই আমি হতাম
প্রজাপতির মত।
|
সুকুমার বড়ুয়া
|
৪৪
|
ধরণীর কোন এক দীনতম গৃহে যদি জন্মে প্রেয়সী আমার,
সে বালিকা বক্ষে তার রাখিবে সঞ্চয় করি সুধার ভাণ্ডার আমারি লাগিয়া।
|
মোহিতলাল মজুমদার
|
৪৫
|
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।
|
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
|
৪৬
|
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি।
|
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
|
৪৭
|
স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়?
|
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
|
৪৮
|
করিতে পারিনা কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে
পাছে লোকে কিছু বলে ।
|
কামিনী রায়
|
৪৯
|
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে ?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও ।
|
কামিনী রায়
|
৫০
|
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী 'পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
|
কামিনী রায়
|
৫১
|
একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে,
ভুল করেছে যারা, সবাই ভুক্তভোগী বটে।
|
আবুল হোসেন মিয়া
|
৫২
|
একটু খানি স্নেহের কথা, একটু ভালোবাসা
গড়তে পারে এই দুনিয়ায় শান্তি সুখের বাসা।
|
আবুল হোসেন মিয়া
|
৫৩
|
লোকে কয়, কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে।
|
সুকুমার রায়
|
৫৪
|
বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে,
মাঝিরে কন, বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?
|
সুকুমার রায়
|
৫৫
|
বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ
মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?
|
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
|
৫৬
|
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই ।
|
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
|
৫৭
|
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
|
কুসুমকুমারী দাশ
|
৫৮
|
ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।
|
রফিক আজাদ
|
৫৯
|
আমার স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বন্টন।
|
সমর সেন
|
৬০
|
এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে
রমনার উর্দ্ধমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে, সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি।
|
মাহবুবুল আলম চৌধুরী
|
৬১
|
মার চোখে নেই অশ্রু কেবল
অনলজ্বালা, দু'চোখে তাঁর শত্রু হননের আহবান।
|
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
|
৬২
|
আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য,
তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি'
|
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
|
৬৩
|
সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই
|
চন্ডীদাস
|
৬৪
|
কেমনে ধরিব হিয়া
|
চন্ডীদাস
|
৬৫
|
সকল দেশের রানী সে যে - আমার জন্মভূমি
|
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
|
৬৬
|
কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি,
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।
|
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
|
৬৭
|
আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়
|
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
|
৬৮
|
নগরের লোক সব এই কয় মাস ।
তোমার কৃপায় করে মহাসুখে বাস ।
|
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
|
৬৯
|
তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন।
নিজ পরিশ্রম তোষি আমি সর্বজন ।
|
আবদুল হাকিম
|
৭০
|
যেই দেশে সেই কাব্যে কহে নরগণ ।
সেই বাক্যে বুঝে প্রভু আপে নিরঞ্জন ।
|
আবদুল হাকিম
|
৭১
|
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু সে স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার চলে?
|
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
|
৭২
|
জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা হবে?
|
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
|
৭৩
|
ঊর্ধ্ব শির যদি তুমি কুল মনে ধনে;
করিওনা ঘৃণা তব নীচ শির জনে ।
|
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
|
৭৪
|
বন্ধু তোমার ছাড় উদ্বেগ, সূতীক্ষ্ম কর চিত্ত,
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।
|
সুকান্ত ভট্টাচার্য
|
৭৫
|
কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে
শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে।
|
সুকান্ত ভট্টাচার্য
|
৭৬
|
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত ধ্বংসস্তু-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
|
সুকান্ত ভট্টাচার্য
|
৭৭
|
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
|
সুকান্ত ভট্টাচার্য
|
৭৮
|
যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাতে তার মুখে খবর পেলুম
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক ।
|
সুকান্ত ভট্টাচার্য
|
৭৯
|
এ নদীর পাশে মজা নদী বার মাস
বর্ষায় আজ বিদ্রোহ বুঝি করে ।
|
সুকান্ত ভট্টাচার্য
|
৮০
|
“ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম।“
|
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
|
৮১
|
আহা,কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি
মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী ।
|
কায়কোবাদ
|
৮২
|
আমি তো পাগল হয়ে যাই যে মধুর তানে
কি যে এক আকর্ষণে ছুটে যাই মুগ্ধ মনে ।
|
কায়কোবাদ
|
৮৩
|
‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি
চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী
অর্ধেক তার নর।'
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৮৪
|
নাচে পাপ-সিন্ধু তুঙ্গ তরঙ্গ।
মৃত্যুর মহানিশা রুদ্র উলঙ্গ।
নিঃশেষে নিশাচর গ্রাসে মহাবিশ্বে,
ত্রাসে কাঁপে তরণীর পাপী যত নিঃস্বে।
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৮৫
|
‘তবুও থামে না যৌবন বেগ, জীবনের উল্লাসে’
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৮৬
|
আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ।
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৮৭
|
হে দারিদ্র, তুমি মোরে করেছ মহান ।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান
কণ্টক মুকুট শোভা ।
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৮৮
|
গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই,
নহে কিছু মহীয়ান ।”
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৮৯
|
গাহি তাহাদের গান
বিশ্বের সাথে জীবনের পথে যারা আজি আগুয়ান ।
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৯০
|
কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁতাবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা ।
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৯১
|
থাকব নাক বন্ধ ঘরে
দেখব এবার জগৎটাকে
কেমন করে ঘুরছে মানুষ
যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে ।
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৯২
|
সাহেব কহেন, “চমৎকার! সে চমৎকার !
মোসাহেব বলে, “চমৎকার সে হতেই হবে যে।'
হুজুরের মতে অমত কার?
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৯৩
|
“চাষী ওরা, নয়কো চাষা, নয়কো ছোটলোক”
|
কাজী নজরুল ইসলাম
|
৯৪
|
মেঘ বৃষ্টি আলোর দেশে
নদী চলে জমিন ঘেষে ।
|
ফররুখ আহমদ
|
৯৫
|
“সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতো সন্ধ্যা নামে'
|
জীবনানন্দ দাশ
|
৯৬
|
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যাথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমিয়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায় !
|
জসীম উদ্দিন
|
৯৭
|
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা,
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ
|
জসীম উদ্দিন
|
৯৮
|
এতটুকু তারে ঘরে এনছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক ।
|
জসীম উদ্দিন
|
৯৯
|
পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল;
আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল ।
|
জসীম উদ্দিন
|
১০০
|
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ রাশি,
থাপড়েতে নিভিয়ে গেছে দারুণ অভাব আসি ।
|
জসীম উদ্দিন
|
১০১
|
সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা ।
|
জসীম উদ্দিন
|
১০২
|
এ আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর- তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে ।
|
শামসুর রাহমান
|
১০৩
|
তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো
বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।
|
শামসুর রাহমান
|
১০৪
|
এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে ।
কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে,
আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে ।
|
শামসুর রাহমান
|
১০৫
|
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন
|
শামসুর রাহমান
|
১০৬
|
বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?
|
বেগম সুফিয়া কামাল
|
১০৭
|
এইতো হেমন্ত দিন, দিল নব ফসল সম্ভার
অঙ্গনে অঙ্গনে ভরি, এই রূপ আমার বাংলার
|
বেগম সুফিয়া কামাল
|
১০৮
|
রইব না আর ঘরের কোণে
বাহির হব দূর ভবনে ।
|
গোলাম মোস্তফা
|
১০৯
|
“মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে।”
|
মীর মশাররফ হোসেন
|
১১০
|
রোগকে ঘৃণা করা যায়, রোগীকে কেন
|
হুমায়ুন আহমেদ
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন