সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯২২)
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে ‘ছন্দের রাজা' ও ‘ছন্দের জাদুকর' ‘বাস্তববাদী কবি' অভিধায় বিশেষায়িত করা হয়। দেশাত্মবোধ, শক্তির সাধনা ও মানবতার বন্দনা তাঁর কবিতার বিষয়। প্রেম-প্রকৃতি তাঁর কাব্যের প্রধান পাত্র-পাত্রী। ছন্দের ঝংকারে তাঁর কবিতা সমৃদ্ধ হয় ।
সাহিত্যিক উপাদান
|
সাহিত্যিক তথ্য
|
জন্ম
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮২ সালে নিমতাগ্রাম, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস বর্ধমান জেলার চুপী গ্রাম ।
|
পিতামহ
|
‘তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার সম্পাদক অক্ষয় কুমার দত্ত ছিলেন তার পিতামহ ।
|
উপাধি
|
তিনি ‘ছন্দের রাজা' ও ‘ছন্দের জাদুকর' হিসেবে খ্যাত । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে ‘ছন্দের জাদুকর’ উপাধিতে ভূষিত করেন ।
|
ছদ্মনাম
|
ছদ্মনাম: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর।
|
বিশেষত্ব
|
তিনি সমাজের তুচ্ছ মানুষকে নিয়ে কবিতা রচনা করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এ বিষয়ক তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘মেথর’।
তিনি ‘বৈদিক গায়ত্রী' ছন্দে বাংলা কবিতা রচনা করেছিলেন। তাঁর রচিত গায়ত্রী ছন্দ এখন ‘গৌড়ি গায়ত্রী' নামে পরিচিত। মন্ত্রের ছন্দকে গায়ত্রী বলে ।
|
নজরুল ইসলামের কবিতা
|
তাঁর মৃত্যুর পর কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সত্যেন প্ৰয়াণ’ কবিতাটি লেখেন।
|
সাহিত্যকর্ম
|
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের সাহিত্যকর্মসমূহ:
মৌলিক কাব্য: ‘সবিতা' (১৯০০), ‘সন্ধিক্ষণ' (১৯০৫), ‘বেণু ও বীণা' (১৯০৬), ‘হোমশিখা’ (১৯০৭), ‘ফুলের ফসল' (১৯১১), ‘কুহু ও কেকা' (১৯১২), ‘তুলির লিখন' (১৯১৪), ‘অভ্র- আবীর’ (১৯১৬), ‘হসন্তিকা' (১৯১৯), ‘বেলা শেষের গান' (১৯২৩), ‘বিদায় আরতি’ (১৯২৪), ‘কাব্য সঞ্চয়ন' (১৯৩০)।
অনূদিত কাব্য: ‘তীর্থ রেণু' (১৯১০’, ‘মণি-মঞ্জুষা' (১৯১৫) ‘তীর্থ সলিল' (১৯১৮)।
উপন্যাস: ‘জনম দুঃখী' (১৯১২- এটি অনুবাদ উপন্যাস)।
নাটক: ‘রঙ্গমল্লী' (১৯১৩- এটি অনুবাদ নাটক)।
প্রবন্ধ: ‘চীনের ধূপ’ (১৯১২- এটি অনুবাদ প্রবন্ধ), ‘ছন্দ- সরস্বতী' (১৯১৯)।
|
বিখ্যাত পক্তি
|
১. মধুর চেয়ে আছে মধুর
সে আমার এই দেশের মাটি,
আমার দেশের পথের ধুলা
খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি ।
২.জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি
দুটি যদি জোটে ফুল কিনে নেও হে অনুরাগী ।
কালো আর ধলো বাহিরে,
ভিতরে সবারি সমান রাঙা ।
|
মৃত্যু
|
তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ সালে ব্রঙ্কাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন