গোলাম মোস্তফা

গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪)

পাকিস্তান আদর্শে বিশ্বাসী গোলাম মোস্তফা গদ্য ও পদ্য রচনায় সমান দক্ষ হলেও কবি হিসেবে তিনি অধিক সমাদৃত। তাঁর কাব্যের মূল বিষয় ইসলাম ও প্রেম। পাকিস্তান আন্দোলনের পটভূমিকায় তিনি প্রচুর পরিমাণ ইসলামি ও পাকিস্তান প্রীতিমূলক সংগীত রচনা করেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তিনি উর্দুকে সমর্থন করেন।

গোলাম মোস্তফার সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম গোলাম মোস্তফা ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে (৭ পৌষ, ১৩০৪) ঝিনাইদহের শৈলকূপার মনোহরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
ছেলে এবং নাতি বিখ্যাত পাপেট নির্মাতা চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার তাঁর ছেলে এবং ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী অস্কারজয়ী নাফিস বিন জাফর তাঁর নাতি ।
বিশেষত্ব তিনি বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে খ্যাত ।
ছাত্রাবস্থায় কবিতা প্রকাশনা স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন তাঁর ‘আদ্রিয়ানোপল উদ্ধার' কবিতাটি মাসিক ‘মোহাম্মদী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।
সচিব পূর্ববঙ্গ সরকার কর্তৃক গঠিত ভাষা সংস্কার কমিটির (১৯৪৯) সচিব ছিলেন ।
উপাধি তিনি যশোর সাহিত্য সংঘ কর্তৃক ‘কাব্য সুধাকর’ (১৯৫২) এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই ইমতিয়াজ’ (১৯৬০) উপাধিতে ভূষিত হন।
সাহিত্যকর্ম গোলাম মোস্তফার সাহিত্যকর্মসমূহ:

কাব্যগ্রন্থ: ‘রক্তরাগ' (১৯২৪): এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যটি প্রকাশিত হলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “তব নব প্রভাতের রক্তরাগখানি মধ্যাহ্নে জাগায় যেন জ্যোতিময় বাণী।” এ কবিতার মাধ্যমে অভিনন্দন জানান ।

‘বুলবুলিস্তান' (১৯৪৯): এ কাব্যের বিখ্যাত কবিতা ‘জীবন বিনিময়’।

‘খোশরোজ' (১৯২৯),
‘কাব্যকাহিনি' (১৯৩২),
‘সাহারা’ (১৯৩৬),
‘হাস্নাহেনা' (১৯৩৮),
‘তারানা-ই-পাকিস্তান' (১৯৫৬),
‘বনি আদম' (১৯৫৮),
‘গীতিসঞ্চয়ণ” (১৯৬৮)।

উপন্যাস: ‘রূপের নেশা' (১৯২০): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ।
‘ভাঙ্গা বুক' (১৯২১),
‘একমন একপ্রাণ' ।

জীবনীগ্রন্থ: ‘বিশ্বনবী' (১৯৪২): এটি মহানবী (স) এর সার্থক জীবনী গ্রন্থ ।
‘মরুদুলাল' (১৯৪৮)।

গদ্যগ্রন্থ: ‘ইসলাম ও কমিউনিজম' (১৯৪৬),
'ইসলাম ও জিহাদ' (১৯৪৭),
‘আমার চিন্তাধারা' (১৯৫২)।
মৃত্যু তিনি ১৩ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে ঢাকায় মারা যান।
নবীনতর পূর্বতন