মদনমোহন তর্কালঙ্কার

মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭-১৮৫৮)

পুরাতন রীতির শেষ কবি, হিন্দু কলেজ ও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক, ভারতীয় উপমহাদেশের পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব, হিন্দু বিধবা বিবাহ প্রথার অন্যতম উদ্যোক্তা, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মদনমোহন তর্কালঙ্কার লেখ্য বাংলা ভাষার বিকাশে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন ।

মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম মদনমোহন তর্কালঙ্কার ১৮১৭ সালে নদীয়ার বিল্বগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
ছাপাখানা সংস্কৃত কলেজের সহপাঠী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহযোগিতায় কলকাতায় ‘সংস্কৃত যন্ত্র’ (১৮৪৭) নামক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য প্রথম মুদ্রিত হয়।
স্ত্রী শিক্ষার সমর্থন তিনি ১৮৫০ সালে ‘সর্ব্ব-শুভঙ্করী' নামক পত্রিকার দ্বিতীয় সংখ্যায় স্ত্রীশিক্ষার সমর্থনে দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখে শিক্ষিত সমাজের প্রশংসাভাজন হন ।
উপাধি কবি প্রতিভার জন্য সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকগণ কর্তৃক ‘কাব্যরত্নাকর' উপাধি লাভ করেন এবং পরে পাণ্ডিত্যের জন্য ‘তর্কালঙ্কার' উপাধি পান ।
সাহিত্যকর্ম পাঠ্যপুস্তক:
‘শিশুশিক্ষা' (১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড- ১৮৪৯, ৩য় খণ্ড- ১৮৫০। এভাবে ‘বোধোদয়' নামে ৪র্থ খণ্ড রচনা করেন)। কলকাতা বেথুন কলেজ কর্তৃক ‘হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়' (১৮৪৯) প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি বিনা বেতনে ছাত্রীদের শিক্ষাদান ও শিশুপাঠ্য হিসেবে এ গ্রন্থটি রচনা করেন ।
প্রবন্ধ:
‘রসতরঙ্গিনী' (১৮৩৪), ‘বাসবদত্তা' (১৮৩৬)।
বিখ্যাত পঙক্তি ১. পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল । কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল ॥
২. সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি ।
৩. লেখাপড়া করে যে, গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে।
মৃত্যু তিনি ৯ মার্চ, ১৮৫৮ সালে কান্দীতে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন ।
নবীনতর পূর্বতন