গিরিশচন্দ্র সেন

গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৩৫-১৯১০)

পবিত্র কোরআন বাংলায় প্রথম অনুবাদকারী গিরিশচন্দ্র সেন (ভাই)। বাঙালি মুসলিমদের জন্য মুসলিম ধর্মগ্রন্থ বঙ্গানুবাদ ও মহাপুরুষদের জীবনী রচনা করে তিনি অমর হয়ে আছেন। ধর্মচর্চা যে শুধু আপনধর্মের গুণকীর্তন ও মাহাত্ম্য বর্ণনা নয়, পরধর্ম ও মতের ভালো দিকগুলোর প্রকাশ ও উন্মোচন, গিরিশচন্দ্র তা দেখিয়েছেন।

গিরিশচন্দ্র সেনের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম গিরিশচন্দ্র সেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচদোনা গ্রামে ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
সম্পাদনা তিনি ‘মহিলা’ (১৮৯৫) পত্রিকার সম্পাদক এবং ‘সুলভ সমাচার’ ও ‘বঙ্গবন্ধু' পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক ছিলেন।
ধর্ম তিনি ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী ছিলেন। ১৮৭১ সালে কেশবচন্দ্র সেন ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রভাবে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। ব্রাহ্মসমাজ তাঁর কর্মনিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ভাই’ উপাধিতে ভূষিত করেন ।
অনুবাদ গ্রন্থ তিনি ১৮৮১-৮৬ সালে পবিত্র কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ করেন।
সাহিত্যকর্ম ‘তাপসমালা’ (১৮৮০-১৮৯৬): এটি ফারসি ভাষায় রচিত মাওলানা ফরিদুদ্দিন আক্তারের ‘তাজকেরাতুল আওলিয়া’ অবলম্বনে রচিত। ৯৬ জন ওলি-আওলিয়ার জীবন কাহিনি এতে বর্ণিত। এটি বাংলা সাহিত্যে সুফী-দরবেশদের জীবন কাহিনি নিয়ে রচিত প্ৰথম গ্ৰন্থ ।

‘মহাপুরুষ চরিত’ (১৮৮২-১৮৮৭): এটি তাঁর মৌলিক গ্রন্থ। ‘গোলেস্তাঁ ও বুস্তার হিতোপাখ্যানমালা’: এটি দুই খণ্ডে বিভক্ত ছিল। গ্রন্থটি তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি ছিল ।

‘হাদিস বা মেসকাত মসাবিহের' (১৮৯২-১৮৯৮), ‘তত্ত্বরত্নমালা’ , ‘বনিতা বিনোদন’ , ‘রামকৃষ্ণ পরমহংসের উক্তি ও জীবনী'
মৃত্যু তিনি ১৫ আগস্ট, ১৯১০ সালে মারা যান ।
নবীনতর পূর্বতন