আনিসুজ্জামান (১৯৩৭-২০২০)
সাহিত্যিক উপাদান |
সাহিত্যিক তথ্য |
জন্ম |
আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় (পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট গ্রাম) জন্মগ্রহণ করেন। |
পিতা-মাতা |
তাঁর পিতার নাম ডা. এ.টি.এম মোয়াজ্জেম ও মাতার নাম সৈয়দা খাতুন । |
পুরস্কার ও সম্মাননা |
তিনি দাউদ পুরস্কার (১৯৬৫), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭০), একুশে পদক (১৯৮৫), আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃক প্রদত্ত আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৩, ২১০৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিলিট (২০০৫), ভারত সরকারের পদ্মভূষণ (২০১৪), স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৫), ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদকসহ (২০১৮) বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। |
সাহিত্যকর্ম |
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সাহিত্যকর্মসমূহ: ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য' (১৯৬৪), ‘মুসলিম বাংলার সাময়িক পত্র' (১৯৬৯), ‘স্বরূপের সন্ধানে’ (১৯৭৬), ‘আঠারো শতকের চিঠি' (১৯৮৩), ‘পুরোনো বাংলা গদ্য' (১৯৮৪), ‘বাঙালি নারী : সাহিত্যে ও সমাজে' (২০০০), 'বাঙালি সংস্কৃতি ও অন্যান্য’, ‘ইহজাগতিকতা ও অন্যান্য', ‘সংস্কৃতি ও সংস্কৃতি সাধক’, ‘চেনা মানুষের মুখ', ‘আমার একাত্তর' (১৯৯৭), ‘আমার চোখে' (১৯৯৯), ‘কাল নিরবধি' (২০০৩), ‘মুক্তির সংগ্রাম' (২০১২), 'বিপুলা পৃথিবী' ইত্যাদি। |
কাল নিরবধি |
আনিসুজ্জামানের ‘কাল নিরবধি' (২০০৩) একটি স্মৃতিকথা। এটি ২১ নভেম্বর, ১৯৯৭ থেকে ২৮ আগস্ট, ১৯৯৮ পর্যন্ত ‘ভোরের কাগজ' পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে এবং ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ থেকে ৮ মার্চ, ২০০২ পর্যন্ত ‘প্রথম আলো’ পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতো। এ স্মৃতিকথার শুরু আনিসুজ্জামানের পূর্বপুরুষের জীবন বৃত্তান্ত দিয়ে এবং শেষ হয় মুক্তিযুদ্ধের সূচনার মাধ্যমে। |
মৃত্যু |
আনিসুজ্জামান ২০২০ সালের ১৪ মে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেন। |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন