শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)
বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর উপন্যাসে মানুষের অন্তরে তার ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস-সংস্কারের সাথে প্রণয়াকাঙ্ক্ষার যে নিরন্তর দ্বন্দ্ব-সংঘাত, গার্হস্থ্য ও সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি অসাধারণভাবে শিল্প কুশলতার সাথে অঙ্কিত হয়েছে। বাঙালি সমাজে নারীর বঞ্চনা, নারীর দুঃখ তাঁর উপন্যাসের অন্যতম দিক।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ৩১ ভাদ্র, ১২৮৩। সূত্র: বাংলা একাডেমি চরিতাভিধান) হুগলীর দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । |
রেঙ্গুন (বার্মা) গমন | তিনি মাতৃবিয়োগের (১৮৯৫) কারণে চরম অর্থকষ্টে নিপতিত হন এবং ১৯০৩ সালে ভাগ্যান্বেষণে রেঙ্গুন (বার্মা) গমন করেন। |
ছদ্মনাম | তিনি মাঝে মাঝে অনিলা দেবী, অপরাজিতা দেবী, শ্রী চট্টোপাধ্যায়, অনুরূপা দেবী, পরশুরাম (এটি রাজশেখর বসুরও ছদ্মনাম), শ্রীকান্ত শর্মা ও সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছদ্মনামে লিখতেন । |
স্বর্ণপদক ও ডি. লিট ডিগ্রী | শরৎচন্দ্র ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক এবং ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট ডিগ্রী লাভ করেন । |
প্রথম গল্প | শরৎচন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম ‘মন্দির’: এটি কুন্তলীন পুরস্কার পায় ১৯০৩ সালে। |
উপন্যাস | শরৎচন্দ্রের উপন্যাসগুলো: ‘বড়দিদি' (১৯০৭): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস । এটি সরলা দেবী সম্পাদিত 'ভারতী' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ পায়। প্রথমে এটির নাম ছিল 'শিশু'। মাধবীর নাম ‘বড়দিদি’ । চরিত্র: মাধবী, সুরেন্দ্রনাথ, ব্রজরাজ, প্রমীলা। 'বিরাজ বৌ' (১৯১৪) : উপন্যাসটি 'ভারতবর্ষ' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় । সুন্দরী বিরাজ বৌয়ের নানাবিধ সমস্যা উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু । ‘পল্লীসমাজ' (১৯১৬): উপন্যাসটি ১৯১৫ সালে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বাংলার পল্লীজীবনের নীচতা ও ক্ষুদ্র রাজনীতির পটভূমিকায় এক আদর্শবাদী যুবক- যুবতীর সম্পর্ক ও বিশেষ করে তাদের অভিশপ্ত প্রেমকাহিনি এই উপন্যাসের মূল বিষয়। এ উপন্যাসের নাট্যরূপ ‘রমা’ (১৯২৮)। চরিত্র: রমা, রমেশ, বেণী, বলরাম। ‘নিষ্কৃতি' (১৯১৭): এ উপন্যাসের প্রথমাংশ ‘ঘরভাঙা” নামে ‘যমুনা” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। চরিত্র: গিরিশ, রমেশ, সিদ্ধেশ্বরী, শৈলজা। ১৯৪৪ সালে Deliverance নামে দিলীপকুমার রায়ের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। ‘শ্রীকান্ত' ( ১ম খণ্ড – ১৯১৭, ২য় খণ্ড - ১৯১৮, ৩য় খণ্ড - ১৯২৭, ৪র্থ খণ্ড - ১৯৩৩): এটি তাঁর আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এ উপন্যাসে শরৎচন্দ্র ‘শ্রীকান্ত শর্মা' ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। চরিত্র: রাজলক্ষ্মী, ইন্দ্ৰনাথ, শ্রীকান্ত, অভয়া । ইন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র। ‘দেবদাস (১৯১৭): দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমুখী অন্যতম চরিত্র। ‘চরিত্রহীন' (১৯১৭): এটি প্রথমে ধারাবাহিকভাবে ‘যমুনা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী-পুরুষের সমাজ অননুমোদিত সম্পর্ক এ উপন্যাসের মূল বিষয়। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: সতীশ, সাবিত্রী, দিবাকর, কিরণময়ী। ‘দত্তা’ (১৯১৮) : উপন্যাসটি ১৩২৪-১৩২৫ বঙ্গাব্দে ‘ভারতবর্ষ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। চরিত্র- নরেন, বিজয়া, রাসবিহারী, বনমালী। এ উপন্যাসের নাট্যরূপ ‘বিজয়া' (১৯৪৩)। ‘গৃহদাহ' (১৯২০) : এতে ত্রিভুজ প্রেমের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। চরিত্র: সুরেশ, অচলা, মহিম। ‘দেনাপাওনা’ (১৯২৩): এ উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র- জীবানন্দ, ষোড়শী। উপন্যাসটি ‘ষোড়শী' নামে নাট্যায়িত হয়। ‘পথের দাবী' (১৯২৬): এটি রাজনৈতিক উপন্যাস যা সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়। চরিত্র: সব্যসাচী। ‘বিপ্রদাস' (১৯৩৫): এটি শরৎচন্দ্রের জীবিতাবস্থায় প্রকাশিত সর্বশেষ গ্রন্থ। উপন্যাসটি ‘বিচিত্রা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। চরিত্র: বিপ্রদাস, দ্বিজদাস, বন্দনা । ‘শেষ প্রশ্ন (১৯৩১): এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিতর্কপ্রধান ও সমস্যামূলক উপন্যাস। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: শিবনাথ-মনোরমা, অজিত-কমল, নীলিমা-আশুবাবু । ‘শেষের পরিচয়' (১৯৩৯): এটি তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস। এটি শরৎচন্দ্র লেখা শেষ করে যেতে পারেননি। বাকী অংশ রাধারানী দেবী কর্তৃক রচিত। উপন্যাসটি ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ‘পরিণীতা' (১৯১৪), ‘পণ্ডিত মশাই' (১৯১৪), “বৈকুণ্ঠের উইল' (১৯১৬), ‘অরক্ষণীয়া' (১৯১৬), ‘বামুনের মেয়ে’ (১৯২০), ‘নববিধান’ (১৯২৪)। |
প্রবন্ধ |
শরৎচন্দ্রের প্রবন্ধগুলো: ‘নারীর মূল্য’ (১৯২৩): এটি নারীর সামাজিক অধিকার ও সমাজে নারীর স্থান সম্পর্কিত প্রবন্ধ। এটি তিনি ‘অনিলা দেবী' ছদ্মনামে রচনা করেন, যা ‘যমুনা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । অনিলা দেবী শরৎচন্দ্রের বড় বোনের নাম। ‘তরুণের বিদ্রোহ' (১৯২৯): এ প্রবন্ধটি ১৯২৯ সালের ৩০ মার্চ রংপুর বঙ্গীয় যুব সম্মিলনীর অধিবেশনে সভাপতির ভাষণ। এ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ‘সত্য ও মিথ্যা' নামে আরো একটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ‘স্বদেশ ও সাহিত্য' (১৯৩২)। |
ছোটগল্প | শরৎচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পগুলো: ‘কাশীনাথ' (১৯১৭): সতের বছর বয়সে তিনি সর্বপ্রথম পাঠশালার সহপাঠী কাশীনাথের নামে গল্পটি লিখেন। ‘ মন্দির’, ‘মহেশ’ (চরিত্র: গফুর, আমেনা), ‘ মামলার ফল’, ‘ বিলাসী’, ‘সতী’, ‘অনুরাধা’, ‘ পরেশ’ ইত্যাদি । |
বড় গল্প | শরৎচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য বড় গল্পগুলো: ‘বিন্দুর ছেলে ও অন্যান্য গল্প' (১৯১৪): এটি বিন্দুর ছেলে, রামের সুমতি ও পথনির্দেশ গল্পের সংকলন। এ গল্পগুলি ‘যমুনা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ‘মেজদিদি' (১৯১৫): এটি মেজদিদি, দর্পচূর্ণ ও আঁধারে আলো গল্পের সংকলন। এ তিনটি গল্পই চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে। ‘মেজদিদি'র চরিত্র: হেমাঙ্গিনী, কেষ্ট, কাদম্বিনী। ‘ছবি' (১৯২০): এটি ছবি, বিলাসী ও মামলার ফল গল্পের সংকলন । |
নাটক | শরৎচন্দ্রের নাটকগুলো: ‘ষোড়শী’ (১৯২৮), ‘রমা' (১৯২৮), ‘বিজয়া’ (১৯৩৫)। |
মৃত্যু | তিনি ১৬ জানুয়ারি, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা- ২ মাঘ, ১৩৪৪) পাক নার্সিংহোমে মৃত্যুবরণ করেন। |
‘শ্রীকান্ত' উপন্যাসের পরিচয়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজৈবনিক উপন্যাস 'শ্রীকান্ত' (১ম খণ্ড- ১৯১৭, ২য় খণ্ড- ১৯১৮, ৩য় খণ্ড- ১৯২৭, ৪র্থ খণ্ড - ১৯৩৩)। ১ম খণ্ড মাসিক ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ‘শ্রীকান্তের ভ্রমণকাহিনী' নামে প্রকাশ পায়। এ পত্রিকায় লেখকের নাম ছাপা হয় ‘শ্ৰীশ্ৰীকান্ত শর্মা'। ২য় ও ৩য় খণ্ডও ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ৪র্থ খণ্ড প্রকাশিত হয় 'বিচিত্রা' পত্রিকায়। এ উপন্যাসের প্রথম খণ্ডে বালক শ্রীকান্তের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ‘বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়' উপলব্ধির মাধ্যমে শেষ হয়। দ্বিতীয় খণ্ডে শ্রীকান্তের রেঙ্গুন যাত্রার জীবন্ত উপস্থাপনা, শ্রীকান্ত ও রাজলক্ষ্মীর আন্তরিকতা আমাদের সামনে উম্মোচিত হয়। তৃতীয় খণ্ডে অসুস্থ শ্রীকান্তকে রাজলক্ষ্মী সেবা-শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুললেও তাদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ফলে শ্রীকান্ত আবার রেঙ্গুন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদায় নিতে এসে দেখে রাজলক্ষ্মীর সন্ন্যাসীর বেশ। চতুর্থ খণ্ডে শ্রীকান্তের সাথে পুঁটুর বিয়ের দিন ধার্য, রাজলক্ষ্মীর সন্ন্যাসীর বেশ ত্যাগ, কমললতা কর্তৃক শ্রীকান্তকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ এবং মৃত্যুপথযাত্রী গহরকে সেবা করার কাহিনি এবং কমললতার নিরুদ্দেশ যাত্রার মধ্য দিয়ে উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটেছে। এ উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র: রাজলক্ষ্মী, ইন্দ্রনাথ, শ্রীকান্ত, অভয়া, কমললতা। ইন্দ্ৰনাথ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র।
‘দেবদাস' উপন্যাসের পরিচয়
সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় দেবদাস তার বাল্যপ্রণয়ী পার্বতীকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে তিল তিল করে ক্ষয় করার বেদনাময় কাহিনিকে জীবন্ত করে অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেন বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবদাস' (১৯১৭)। দেবদাস ও পার্বতী আধুনিক সমাজের প্রেমিক-প্রেমিকার রূপকে পরিণত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য চরিত্র: দেবদাস, পার্বতী (পারু), চন্দ্রমুখী, চুনিলাল, ধর্মদাস। এ উপন্যাসটি প্রথম 'ভারতবর্ষ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালে সঞ্জয়লীলা বানশালী এ উপন্যাসের কাহিনি নিয়ে ‘দেবদাস' নামে হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়িত করেন। এ সিনেমায় পার্বতী চরিত্রে ঐশ্বর্য রাই, চন্দ্রমুখী চরিত্রে মাধুরী দীক্ষিত এবং দেবদাস চরিত্রে শাহরুখ খান অভিনয় করেন।
‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের পরিচয়
অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘গৃহদাহ’ (১৯২০) একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এটি প্রথমে মাসিক ‘ভারতবর্ষ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মহিম ও সুরেশ, এই দুই পুরুষের প্রতি অচলার আকর্ষণ-বিকর্ষণই এ উপন্যাসের মূল বিষয়। সুরেশ হচ্ছে অচলার স্বামী মহিমের বন্ধু। সুরেশের মাধ্যমে শরৎচন্দ্র এ উপন্যাসে প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারী- পুরুষ সম্পর্কের এক ব্যতিক্রম বর্ণনা তুলে ধরেছেন। অচলা মহিমকে ভালবেসেই বিয়ে করেছিল, কিন্তু নানা কারণে সুরেশকেও দূরে ঠেলে দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। স্বামীগৃহ ত্যাগ করে সুরেশের সঙ্গে চলে গিয়ে গতানুগতিক সামাজিক আদর্শে অচলা চরম আঘাত হানে। ঔপন্যাসিক এখানে মৃণালকে আদর্শ হিন্দু বিধবা হিসেবে রূপায়িত করেছেন।
‘পথের দাবী' উপন্যাসের পরিচয়
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস 'পথের দাবী' (১৯২৬)। স্বদেশী বিপ্লবীদের উদ্দীপনামূলক গ্রন্থ 'পথের দাবী'। ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ উপন্যাসটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যা থেকে উপন্যাসটি ‘বঙ্গবাণী' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ব্রহ্মদেশের এক গুপ্ত বিপ্লবী দলের নায়ক সব্যসাচী এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। এ উপন্যাসের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা ও সশস্ত্র বিপ্লবকে সমর্থন করার কারণে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়। ‘আমি বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতাই আমার একমাত্র কাম্য, আমার একটিমাত্র সাধনা' এ বিপ্লবাত্মক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রেরণা জোগাতে এ উপন্যাস বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।