সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বড় ভাই সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সাংবাদিক, লেখক ও পণ্ডিত। একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইংরেজি সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও আইনে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁর মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তাঁকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেয়। তিনি সামাজিক অসাম্য ও সাংস্কৃতিক অনগ্রসরতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন। তিনি ছিলেন হেয়ালী লেখক । প্রতিভার অমিত তেজ সত্ত্বে ও তিনি তার প্রতিভার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারেন নি শুধুমাত্র পরিশ্রম না করার কারণে । একই কাজে তিনি বেশিদিন বা বেশিক্ষণ মনোনিবেশ করতে পারতেন না। শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না; সেই প্রতিভাকে যথাযথ ব্যবহার করতে হয়, হতে হয় অধ্যবসায়ী। তেমনটা ছিলেন না সঞ্জীব। ছিলেন আয়েশী প্রকৃতির মানুষ ; গৎবাধা জীবন তার ভাল লাগত না ।

জন্ম ও পরিচয়

সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁটালপাড়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ডেপুটি কালেক্টর যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং মাতা দুর্গাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন সঞ্জীবচন্দ্র। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার বছর চারেকের ছোট । যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম পুত্রের নাম ছিল শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় । সঞ্জীবরা তিন ভাই ছিলেন যথাক্রমে শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় , সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় , বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।

শিক্ষাজীবন

সঞ্জীবচন্দ্রের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রাম্য পাঠ্যশালায় । পরে মেদিনীপুরের স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু সঞ্জীবচন্দ্র লেখাপড়ায় নিয়মিত ছিলেন না । তার বেশি টান ছিল মূলত দাবা খেলায়। পিতার কর্মসূত্রের বদলির কারণে সঞ্জীবচন্দ্রকে দুই বার হুগলী কলেজ ও মেদিনীপুরের স্কুলে ভর্তি হতে হয়। এরপর তিনি ব্যারাকপুরের সরকারী জেলা কলেজে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভর্তি হলেন কিন্তু পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি তিনি। বঙ্কিমচন্দ্র তার অগ্রজকে সাথে নিয়ে তখন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আইনের ক্লাসে ভর্তি হলেন । সেই বঙ্কিমচন্দ্র পড়া শেষ না করেই চাকরিতে ঢুকে গেলেও সঞ্জীব কিন্তু রয়ে গেলেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হলো না। কারণ সঞ্জীব পরীক্ষায় যথারীতি অকৃতকার্যই হলেন ।

কর্মজীবন

প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করতে না পারার কারণে তার পিতা তাকে সাথে করে বর্ধমানে নিয়ে যান । তার পিতা যাদবচন্দ্র বর্ধমান কমিশনারের অফিসে অল্প-মাইনের কেরানির চাকরির ব্যবস্থা করে দেন সঞ্জীবচন্দ্রকে । এ চাকরি তিনি করেছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হওয়ার পূর্বে । অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও এই ‘সামান্য’ কেরানির চাকরি করতে তার বাঁধল না একবারের জন্যও। তিনি হাসিমুখেই তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু মেনে নিতে পারছিলেন না ছোট ভাই বঙ্কিমচন্দ্র। তাই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শে প্রেসিডেন্সি কলেজে আইনবিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। জীবনযাপনে ও কোনো শৃঙ্খলা ছিল না তার। কীভাবে নিজেকে দাঁড় করানো যায় , প্রতিষ্ঠা করা যায় এ নিয়ে তিনি কখনোই সচেষ্ট ছিলেন না । বরং যে কাজটি তার মনে সায় দিত , যে কাজটি করলে মনে আনন্দ হত সে কাজটিই তিনি করতেন । আইনের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার তিনি বাগান করার প্রতি মনোযোগী হলেন। বেশ আনন্দেই তার দিন কাটছিল ফুলের বাগানের সাথে। কিন্তু বাঁধ সাধলেন তার বাবা, সন্তানের এই কাজ মোটেও ভালো লাগেনি তার। তখন আয়কর বিভাগের জন্য জেলায় জেলায় নতুন পর্যবেক্ষকের নিয়োগ চলছিল। পিতা যাদবচন্দ্র তার উদাসী ছেলেকে হুগলী জেলার আয়কর বিভাগের পর্যবেক্ষকের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন । মাইনে ছিল আড়াইশ’ টাকা। কয়েকবছর এই চাকরি করলেনও তিনি। কিন্তু কয়েকবছর বিলুপ্ত হয়ে গেল পদটি। যদিও তাতে তার তেমন কিছু যায় আসছিল না। কারণ তার মনকে টানছিল কেবলই সেই ফুলের বাগানটি । তাই তিনি চাকরি থেকে ফিরে এসে নতুনভাবে দ্বিগুণ উৎসাহে বাগানের কাজ করতে থাকলেন। কিন্তু তার বড় ভাই শ্যামাচরণ পিতা যাদবচন্দ্রের নিকট বাগানের স্থলে একটি শিবমন্দির করার কথা বললেন । বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী, সেখানে ফুলের বাগান ভেঙে মন্দিরই স্থাপিত হলো। কে জানে , এই ঘটনার কারণেই হোক অথবা হাতে কোন কাজ না থাকার কারণেই হোক তিনি লিখে ফেললেন বেঙ্গল রায়টস:দেয়ার রাইটস অ্যান্ড লায়াবিলিটিজ নামক একটি ইংরেজি প্রবন্ধ । এটি তিনি ১৮৬৪ সালে রচনা করেছিলেন । সেই সময়ের হাইকোর্টের জজদের হাতে হাতে ঘুরতো ইংরেজিতে লেখা এই বইটি। এটি লেখার জন্যই সম্ভবত তিনি জীবনের সব থেকে বেশি পরিশ্রম করেছিলেন। প্রতিদিন কাঁটালপাড়া থেকে দশটার সময় ট্রেনে করে এসে কলকাতায় আসতেন। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে আবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে লেখা নিয়ে বসতেন। অবশ্য তার এই কঠিন এবং স্বভাবের বিরুদ্ধে বিস্ময়কর পরিশ্রমের উপযুক্ত প্রতিদানই পেয়েছিলেন তিনি। বইটি ইংরেজ শাসকমহলে এতটাই প্রভাব বিস্তার করল যে, সঞ্জীবচন্দ্রকে কৃষ্ণনগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ দেওয়া হল। কিন্তু তিনি বুঝেছিলেন এ চাকরি তার থাকবে না। তিনি বঙ্কিমকে বললেন, ইহাতে পরীক্ষা দিতে হয়। আমি কখনো পরীক্ষা দিতে পারি না। সুতরাং এ চাকরি আমার থাকবে না। হলোও তাই। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার কারণে তার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি যায়। চাকরি ফেরত পাবার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চাকরি আর ফেরত পাননি তিনি। কিন্তু সরকার তাকে বারাসাতের স্পেশাল সাব রেজিস্ট্রারের পদে নিযুক্ত করেন । প্রথমে হুগলী , পরে বর্ধমান ও যশোরে তার বদলি হয়। যশোরের ম্যাজিস্ট্রেট বার্টনের সঙ্গে বেতন কমানোর কারণ নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে সঞ্জীবচন্দ্র চাকরিতে ইস্তফা দেন এবং তিনি বর্ধমানে চলে এলেন। আর সেই বর্ধমানেই মূলত বাংলা সাহিত্যের সাথে তার প্রকাশ্য সম্বন্ধ শুরু হয়! বাংলা সাহিত্যের প্রতি ছোটবেলা থেকেই তিনি অনুরক্ত ছিলেন। কিশোর বয়সে দুইটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন, যা ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল।

বঙ্গদর্শন

উনিশ শতাব্দীতে প্রকাশিত বঙ্গদর্শন একটি বাংলা মাসিক সাহিত্য পত্রিকা বা সাময়িকপত্র। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটা সবাই জানি না যে এর সাথে অনেক সাহিত্যিকের নাম জড়িয়ে আছে । এর মধ্যে সঞ্জীবচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় অন্যতম । কারণ তিনি ও পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছিলেন । ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের, বারো এপ্রিল ( ১২৭৯ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ ) তারিখে বঙ্কিমচন্দ্রের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৮৭২ থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১২৭৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখ থেকে ১২৮২ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাস অবধি এর সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর বঙ্কিমচন্দ্র এই পত্রিকাটি বন্ধ করে দেন । যে কারণে পত্রিকাটি ১৮৭৬ সাল অর্থাৎ ১২৮৩ সাল প্রকাশনা বন্ধ থাকে । এরপর সঞ্জীবচন্দ্রের অনুরোধেই পত্রিকাটি আবার প্রকাশ হয় ১৮৭৭ সাল থেকে ( ১২৮৪ বঙ্গাব্দ ) । সেটির সাথে যারা বঙ্গদর্শন কিনতে পারবে না বা যাদের জন্য উপযোগী নয়, তাদের জন্য ভ্রমর নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশিত হয় । এ দুটিরই তখন সম্পাদক ছিলেন সঞ্জীবচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় । যদি ও ভ্রমর পত্রিকাটি কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায় । তবে ১৮৭৭-১৮৮২ সাল পর্যন্ত ( ১২৮৪ বঙ্গাব্দ থেকে ১২৮৯ পর্যন্ত ) ছয় বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সঞ্জীবচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় । এর পর কিছু সংখ্যা বের হয় নি । এর পরে শ্রীশচন্দ্র মজুমদার ১২৯০ বঙ্গাব্দের ( ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দ ) কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত ৪টি সংখ্যার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ( ১৩০৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩১২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন নবপর্যায়ে ৫ বৎসর প্রকাশিত হয়। মোট ষাটটি সংখ্যা এ সময় প্রকাশিত হয় । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "চোখের বালি" উপন্যাস এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

সাহিত্যকর্ম

১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম বাংলা প্রবন্ধ যাত্রা প্রকাশিত হয়। ভ্রমর নামক মাসিক পত্রিকায় রামেশ্বরের অদৃষ্ট নামক তার প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় । ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম উপন্যাস কণ্ঠমালা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ১২৮৭ বঙ্গাব্দ থেকে ১২৮৯ বঙ্গাব্দের মধ্যে ছয়টি পর্বে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় তার ভ্রমণকাহিনী পালামৌ প্রকাশিত হয়। ১২৮১ বঙ্গাব্দে ভ্রমর নামক মাসিক পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত দামিনী নামক গল্পটি তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়। তিনি Bengali Ryots: Their Rights and Liabilities (১৮৬৪) নামক গ্রন্থ লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।

উপন্যাস

  • কণ্ঠমালা (১৮৭৭)
  • জলপ্রতাপ চাঁদ (১৮৮৩)
  • মাধবীলতা (১৮৮৪)

গল্পগ্রন্থ

  • দামিনী ( ১৮৭৪ )
  • রামেশ্বরের অদৃষ্ট (১৮৭৭)

প্রবন্ধ

  • যাত্রা (১৮৭৫)
  • সৎকার
  • বাল্য বিবাহ
  • বৈজিকতত্ত্ব
  • বৃত্রসংহার

ভ্রমণকাহিনি

  • পালামৌ (১৮৮০-৮২)

বিখ্যাত গ্রন্থ

সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ “পালামৌ” (১৮৮০-৮২) নামক উপন্যাসধর্মী ভ্রমণকাহিনি। পালামৌ নিয়ে চন্দ্রনাথ বলেছিলেন যে,

উপন্যাস না হইয়াও পালামৌ উৎকৃষ্ট উপন্যাসের ন্যায় মিষ্ট বোধ হয়। পালামৌ এর ন্যায় ভ্রমণসাহিত্য বাংলা সাহিত্যে আর নেই। আমি জানি উহার সকল কথাই প্রকৃত, কোনো ঘটনাই কল্পিত নয়। কিন্তু মিষ্টিটা মনোহরিত্তে উহা সুরচিত উপন্যাসের লক্ষণাক্রান্ত ও সমতুল্য।

গ্রন্থটি প্রথম ‘বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় ১২৮৭ বঙ্গাব্দের (১৮৮০) পৌষ সংখ্যা থেকে শুরু করে ১২৮৯ বঙ্গাব্দের (১৮৮২) ফাল্গুন সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। লেখকের জীবদ্দশায় এটি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়নি। ১৯৪৪ সালে এটি কলকাতার ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়। এতে লেখক বিহার জেলার ছোটনাগপুরের পালামৌর প্রাকৃতিক পরিবেশ, অরণ্যে বসবাসরত মানুষ, জীবজন্তু ও পাখ-পাখালির জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেছেন। ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’- বাক্যের মতো বিখ্যাত, শাশ্বত ও চিত্তাকর্ষক বাক্য ‘পালামৌ' গ্রন্থটিকে সার্বজনীন খ্যাতিতে অনবদ্য করে তুলেছে।

বিখ্যাত উক্তি

‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ । এই উক্তিটি তিনি পালামেী গ্রন্থে করেছিলেন।

মৃত্যু

১৮৮৯ সালের ৮ এপ্রিল প্রবল জ্বরে এই গুণী তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নবীনতর পূর্বতন