শামসুদ্দীন আবুল কালাম

শামসুদ্দীন আবুল কালাম (১৯২৬-১৯৯৭)

বাংলাদেশের একটি বিশেষ এলাকার জীবনপ্রবাহকে শামসুদ্দীন আবুল কালাম প্রাণবন্তরূপে পরিবেশন করে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। নিম্নবর্গের শ্রমজীবী মানুষ ছিল তাঁর সাহিত্যের প্রধান উপজীব্য এবং এসকল মানুষের প্রতি ছিল প্রগাঢ় সহানুভূতি। তাঁর গল্প- উপন্যাসে সমকালীন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট চিত্রিত হয়েছে।

শামসুদ্দীন আবুল কালামের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম শামসুদ্দীন আবুল কালাম আগস্ট, ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ঝালকাঠি জেলার নলছিটির কামদেবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
প্রকৃত নাম তাঁর প্রকৃত নাম আবুল কালাম শামসুদ্দীন ‘দৈনিক আজাদ' পত্রিকার সম্পাদকের নাম তাঁর নামের সাথে মিলে যাওয়ায় তিনি ১৯৫৫ সালে পত্র-পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে ‘শামসুদ্দীন আবুল কালাম' নামে পরিচিত হন ।
সম্পাদনা তিনি ‘মাহেনও’ (১৯৪৯) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
পুরস্কার তিনি ১৯৯৪ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' পান।
উপন্যাস তাঁর উপন্যাসগুলো:

‘আলমনগরের উপকথা' (১৯৫৪): সামন্তবাদ ও ধনতন্ত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং উভয়ের দ্বন্দ্বের ফলে গণচেতনার প্রকাশই এ উপন্যাসের মূল বিষয়।

‘কাশবনের কন্যা” (১৯৫৪): এ উপন্যাসে বরিশাল অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, লোকজীবন, গ্রামীণ দিগন্ত ফটোগ্রাফিকভাবে চিত্রায়িত। এ গ্রামে দুঃখ-দারিদ্র্য থাকলেও গ্রামই সুখের স্বর্গ,সমস্ত বিশ্বাসের আধার। চরিত্র : শিকদার, হোসেন, মেহেরজান, জোবেদা।

‘জায়জঙ্গল’ (১৯৭৩) : এতে সুন্দরবনের জনবিরল বনজঙ্গলঘেরা পরিবেশ চিত্রায়িত হয়েছে। উপন্যাসের পটভূমি সুন্দরবন হলেও চরিত্রগুলো এ অঞ্চলের নয়, সবাই সেটেলার। জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের চাপে তারা পিতৃপুরুষের নিবাসভূমি ছেড়ে সমুদ্র তীরবর্তী শ্বাপদসংকুল সুন্দরবন অঞ্চলে বাস করতে বাধ্য হয়েছে।

‘সমুদ্র বাসর' (১৯৮৬): বৃহত্তর বরিশাল জেলার দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্রতীরবর্তী জনজীবনকে কেন্দ্র করে রচিত এ উপন্যাস।

‘দুই মহল' (১৯৫৫),
‘জীবনকাব্য' (১৯৫৬),
“কাঞ্চনমালা’ (১৯৬১),
‘মনের মতো ঠাঁই' (১৯৮৫),
‘যার সাথে যার’ (১৯৮৬),
‘নবান্ন’ (১৯৮৭),
‘কাঞ্চনগ্রাম' (১৯৯৮)।
গল্পগ্রন্থ তাঁর গল্পগ্রন্থসমূহ:

‘অনেক দিনের আশা' (১৯৫২),
‘ঢেউ' (১৯৫৩),
‘পথ জানা নেই' (১৯৫৩),
‘দুই হৃদয়ের তীর’ (১৯৫৫),
‘শাহের বানু’ (১৯৫৭),
‘পুঁই ডালিমের কাব্য' (১৯৮৭)।
মৃত্যু তিনি ১০ জানুয়ারি, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইতালির রোমে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকায় সমাহিত করা হয় ।
নবীনতর পূর্বতন