বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৩ এ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা
- স্থুল জন্মহার (প্রতি হাজারে) - ১৮.১ জন
- স্থুল মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে) - ৫.৭ জন
- শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজার জীবিত জন্মে), এক বছরের নিচে - ২২ জন
- ডাক্তার ও জনসংখ্যার অনুপাত - ১ : ১৭২৪
- সুপেয় পানি গ্রহণকারী, ২০২৩ (টিউবয়েলের পানি) - ৯৮.২%
- স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারী - ৮৫.৮
- গড় আয়ুষ্কাল - ৭২.৩ বছর (পুরুষ ৭০.৬ ,মহিলা ৭৪.২)
- দারিদ্রের হার - ১৮.৭ %,চরম দারিদ্র্যের হার - ৫.৬%
- নারী-পুরুষের অনুপাত - ১০০:৯৮
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা
- ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালের নাম - ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র
- স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পর্যায়ের কর্মী - হেলথ অ্যাসিসটেন্ট
- কমিউনিটি ক্লিনিক - ১৩ হাজার ১৩৬টি
- কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকার হতে কত ধরনের ঔষধ সরবরাহ করা হয়- ৩০ ধরনের
- বাংলাদেশের একমাত্র কুষ্ঠরোগ চিকিৎসাকেন্দ্র - নীলফামারীতে অবস্থিত
- বাংলাদেশের একমাত্র ফাইলেরিয়া হাসপাতাল - সৈয়দপুরে অবস্থিত
- বাংলাদেশে হৃদরোগ ইনস্টিউট - ১ টি। (শেরে বাংলানগর, ঢাকা)
- বাংলাদেশে পরমাণু চিকিৎসা ও আল্ট্রাসাউন্ড কেন্দ্র - ১৪ টি। ঢাকা, মিডফোর্ড (ঢাকা), দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
- বাংলাদেশে যক্ষ্মা হাসপাতালের সংখ্যা - ৪ টি
- রঙধনু - স্বাস্থ্যসেবার প্রতীক
- সবুজ ছাতা - স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রতীক
- সূর্যের হাসি - মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার প্রতীক
- বাংলাদেশের ভাসমান হাসপাতাল - জীবনতরী, লাইফবয় ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল, এমিরেটস ভাসমান ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল
- বাংলাদেশের প্রথম ভাসমান হাসপাতালের নাম - জীবনতরী
- জীবনতরীর উদ্দেশ্য - প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসাপ্রদান
- অরবিস - বিশ্বের একমাত্র উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল
সোয়াইন ফ্লু
- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সোয়াইন ফ্লুকে মহামারী ঘোষণা করে - ১১ জুন, ২০০৯
- সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত সর্বপ্রথম আক্রান্ত হয় - মেক্সিকোর শিশু এদগার হার্নান্দেজ
- বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস আক্রান্ত প্রথম রোগী সনাক্ত করা হয় - ১৮ জুন, ২০০৯
- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সোয়াইন ফ্লুর নাম পরিবর্তন করে রাখে - Influenza A
- সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস -(H1N1)
- বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংকেত -H5N1
- বার্ড ফ্লু ভাইরাসের উৎস - পাখি জাতীয় প্রাণী। যেমন- মুরগী, কবুতর।
টেস্টটিউব বেবি
- বাংলাদেশে প্রথম টেস্ট টিউব শিশুর জন্ম হয় - ৩০ মে, ২০০১, রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে
- বাংলাদেশের জন্মগ্রহণকারী প্রথম টেস্ট টিউব শিশু তিনটির নাম - হিরা, মনি ও মুক্তা।
- টেস্ট টিউবের শিশুত্রয়ের পিতামাতা - মোঃ আবু হানিফ ও ফিরোজা বেগম।
- টেস্ট টিউবের শিশুত্রয়ের জন্মদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন - ডা. পারভিন ফাতেমা।
হিমায়িত ভ্রুণ শিশু
- বাংলাদেশের প্রথম হিমায়িত ভ্রুণ শিশু - অপ্সরা
- অপ্সরার জন্ম হয় - ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাজধানীর মডার্ন হাসপাতালে
- হিমায়িত ভ্রুণ শিশু অপ্সরার রূপকার - ডা: রাশিদা বেগম।
- ভ্রুণ শিশু অপ্সরার বাবা ও মা যথাক্রমে - আফজাল হোসেন এবং সালমা বেগম।
সম্প্রসারিত টীকাদান কর্মসূচি (EPI)
- বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টীকাদান কর্মসূচি শুরু হয় - ১৯৮৫ সালে। তবে প্রথম টিকা দান কর্মসূচি চালু হয় ৭ এপ্রিল ১৯৭৯ সালে।
- EPI এর পূর্ণরূপ - Expanded Programme on Immunization
- EPI এ বর্তমানে টীকা দেওয়া হয় - ১০টি রোগের। যথা- যক্ষ্মা, ধুনষ্টংকার (টিটেনাস), ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, হাম, হেপাটাইটিস-বি মেনিনজাইটিস (হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি ঘটিত), রুবেলা, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া।
- EPI এ সর্বশেষ সংযোজন করা হয় - রুবেলা ভ্যাকসিন
- বি.সি.জি - যক্ষ্মা রোগের টীকা
- ডি.পি.টি - ডিপথেরিয়া, হুপিংকফ এবং ধুনষ্টংকারের টীকা
- পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন - ডি.পি.টি, হেপাটাইটিস-বি এবং হিব ভ্যাকসিন এর সমন্বিত টীকা
- হিব ভ্যাকসিন - হিব ভ্যাকসিন (মেনিনজাইটিস রোগের জন্য)
- ও.পি.ভি - পোলিও রোগের টীকা
- এম.আর ভ্যাকসিন - হাম এবং রুবেলার (জার্মান হাম) টীকা
- জাতীয় টীকাদিবস পালিত হয় - পোলিও নির্মূলের জন্য
icddr,b'র উদ্ভাবন
রোগ নির্ণয়ের জন্য নতুন সৌরশক্তিচালিত 'এক সুটকেস ল্যাবরেটরি' উদ্ভাবনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের (icddr,b) একদল গবেষক। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত সময়ের মধ্যেই যে কোনো দুর্গম এলাকায় কালাজ্বর বা ভিসেরাল লেইশম্যানিয়াসিস পরজীবী চূড়ান্ত ও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা যাবে। উদ্ভাবনকাজ শেষ হলে এটি হবে বিশ্বে প্রথম সৌরশক্তিচালিত সুটকেস ল্যাবরেটরি বা খুদে গবেষণাগার।