বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ | বিসিএস প্রস্তুতি

প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে ২টি (সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া) উপকূলের অদূরে বঙ্গোপসাগরে এবং অবশিষ্ট গ্যাসক্ষেত্রগুলি দেশের পূর্ব ভূ-ভাগে অবস্থিত। তাছাড়া অন্যান্য খনিজ সম্পদ ও এদেশে রয়েছে যেমন- খনিজ তেল , কয়লা , কঠিন শিলা , চুনাপাথর , চীনা মাটি , সিলিকা বালি , তেজষ্ক্রিয় বালু , নুড়িপাথর , গন্ধক , তামা , ইউরেনিয়াম , খনিজ বালি , লৌহ ইত্যাদি ।

প্রাকৃতিক গ্যাস

  • প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ।
  • প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জ্বালানী ব্যবহারের ৭১% পূরণ করে।
  • বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২১ মতে, এ যাবৎ আবিষ্কৃত মোট গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭টি। এর মধ্যে উৎপাদনে যায়নি ২টি কুতুবদিয়া ও ভোলা নর্থ এবং উৎপাদন স্থগিত ৫টি সাঙ্গু, ছাতক, কামতা, ফেনী ও রূপগঞ্জ। মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য সম্ভাব্য ও প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের ১১০টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৬টি কূপ আছে। তবে সম্প্রতি বাপেক্স সিলেটের জকিগঞ্জে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে (২৮তম)।
  • প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন।
  • বাংলাদেশে প্রথম গ্যাসফিল্ড আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে। সর্বপ্রথম উত্তোলন শুরু ১৯৫৭ সালে।
  • কানাডার নাইকো কোম্পানি গ্যাস উত্তোলনে জড়িত থাকা অবস্থায় ২০০৫ সালে টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকান্ড ঘটে।
  • মজুদ গ্যাসের দিক থেকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র হল তিতাস গ্যাসক্ষেত্র।
  • বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২১ মতে, দৈনিক সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন করা হয় বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র হতে।
  • বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ২টি গ্যাসক্ষেত্র আছে। যথা- সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া।
  • সমুদ্রে বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু।
  • ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করা হয় তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র হাতে।
  • শিল্পখাতে প্রথম গ্যাস সংযোগ দেয়া হয় ১৯৫৯ সালে (ছাতক গ্যাসক্ষেত্র হতে)
  • প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান : আমাদের দেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের মিথেনের পরিমাণ (৯৫-৯৯%) , ইখেন ১৩%, প্রোপেন ৩%। এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেন কিছু পরিমাণ থাকে। এ উপাদানগুলোর মধ্যে প্রধান হলো মিথেন ।
  • বাংলাদেশে মোট গ্যাস ব্লক আছে ৪৮টি। (স্থলভাগে ২২ ও জলভাগে ২৬টি)
  • জলভাগের ২৬টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে ১১টি অগভীর সমুদ্রে ও ১৫টি গভীর সমুদ্রে।
বাংলাদেশের ২৮টি গ্যাসক্ষেত্র
গ্যাসক্ষেত্র অবস্থান আবিষ্কারক ও সাল
হারপুর সিলেট পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লি. , ১৯৫৫
ছাতক সুনামগঞ্জ পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লি. , ১৯৫৯
রশিদপুর মৌলভীবাজার পাকিস্তান শেলওয়েল কো. , ১৯৬০
তিভাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাকিস্তান শেলওয়েল কো. , ১৯৬২
কৈলাসটিলা সিলেট পাকিস্তান শেলওয়েল কো. , ১৯৬২
হবিগঞ্জ হবিগঞ্জ ১৯৬৩
বাখরাবাদ কুমিল্লা পাকিস্তান শেলওয়েল কো. , ১৯৬৯
সেমুতাং খাগড়াছড়ি ওজিডিসি , ১৯৬৯
কুতুবদিয়া কক্সবাজার ইউনিয়ন ওয়েল কো, যুক্তরাষ্ট্র , ১৯৭৭
বেগমগঞ্জ নোয়াখালী পেট্রোবাংলা , ১৯৭৭
ফেনী ফেনী পেট্রোবাংলা , ১৯৮১
বিয়ানীবাজার সিলেট পেট্রোবাংলা , ১৯৮১
কামতা গাজীপুর পেট্রোবাংলা , ১৯৮১
ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেট পেট্রোবাংলা , ১৯৮৮
জালালাবাদ সিলেট সিমিটার , ১৯৮৯
মেঘনা কুমিল্লা পেট্রোবাংলা , ১৯৯০
নরসিংদী নরসিংদী পেট্রোবাংলা , ১৯৯০
শাহবাজপুর সিলেট বাপেক্স , ১৯৯৫
সালদা নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাপেক্স , ১৯৯৬
সাঙ্গু বঙ্গোপসাগর কেয়র্নি এনার্জি , ১৯৯৬
মাগুরছড়া বা কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার অক্সিডেন্টাল , ১৯৯৭
বিবিয়ানা হবিগঞ্জ পেট্রোবাংলা , ১৯৯৮
বাঙ্গুরা কুমিল্লা তাল্লো , ২০০৫
সুন্দলপুর নোয়াখালী বাপেক্স , ২০১১
শ্রীকাইল কুমিল্লা বাপেক্স , ২০১২
রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ বাপেক্স , ২০১৪
ভোলানর্থ ভোলা বাপেক্স , ২০১৮
জকিগঞ্জ সিলেট বাপেক্স , ২০২১
উপকূলীয় অঞ্চলে গ্যাসক্ষেত্র ২টি
সাঙ্গু কুতুবদিয়া
মোট উৎপাদন ১০৮৫.৬ বিলিয়ন ঘনফুট
মোট ব্যবহার ৯৯৪.৪ বিলিয়ন ঘনফুট
বাংলাদেশে খাতওয়ারি গ্যাসের ব্যবহার (২০১৯-২০): (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২১)
খাত (বিলিয়ন ঘনফুট)
বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৪৫৫.৯
ক্যাপটিভ পাওয়ার ১৫১.৬
শিল্প ১৫৫.৭
বাণিজ্যিক ৬.৭
গৃহস্থলি ১৩২.৭
সার কারখানা ৫৪.৬
সিএনজি ৩৬.১
চা বাগান ১.১

১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড হয়। এটি বাংলাদেশের কোন গ্যাসক্ষেত্রে প্রথম অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডের সময় এ গ্যাসক্ষেত্রের দায়িত্বে ছিল অক্সিডেন্টাল (যুক্তরাষ্ট্র)।

পেট্রোবাংলা (Petrobangla)

  • প্রতিষ্ঠাকাল : ২৬ মার্চ, ১৯৭২
  • পেট্রোবাংলার অধিনস্ত কোম্পানি : ১১ টি। যথা: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি লিমিটেড (Bapex), বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি মধ্যপাড়া হার্ডরক মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লি.।

এছাড়া কুমিল্লার ময়নামতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বরিশালের হিজলা, মুলাছি, নোয়াখালির বেগমগঞ্জ, নাটোরের নিমগাও এ তেল পাবার সম্ভাবনা আছে।

এল পি জি এবং সি এন জি

  • প্রাকৃতিক গ্যাস সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। শীতলীকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে তা তরলে পরিণত হয়। এ তরল প্রাকৃতিক গ্যাসকেই বলা হয় এলএনজি।
  • কৈলাসটিলায় স্থাপিত এল.পি.জি. প্লান্টের মাধ্যমে কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রের এলএনজি হতে বার্ষিক ৫ হাজার মেট্রিক টন এলপিজি উৎপাদিত হচ্ছে।
  • দুইটি এল,এন,জি, টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে (২০১৮ ও ২০১৯ এ)।
  • সরকার কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে দৈনিক ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতার একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
  • বাংলাদেশ ৪২তম দেশ হিসেবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) ক্লাবে প্রবেশ করে।
  • আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, এলএনজিতে মিথেনের পরিমাণ ৮৯.৬৩%। এছাড়া ইথেন ৬.৩২%, প্রপেন ২.১৬% ও বিউটেন ১.১২%।

তিতাস গ্যাস

  • বি-বাড়িয়া তিতাস নদীর তীরবর্তী গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত গ্যাসই তিতাস গ্যাস। ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত হয়। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কার্যক্রম শুরু করে ১২ নভেম্বর, ১৯৬৪ সালে। মোট মজুদের দিক থেকে এটি বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র।
  • ঢাকা সরবরাহকৃত গ্যাস আসে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র থেকে। তিতাস ঢাকা গ্যাস লাইনের দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার। এর মুখ্য উপাদান মিথেন।

কয়লা ও খনিজ তেল

কয়লা (Coal) :

বাংলাদেশের কয়েকটি কয়লাক্ষেত্র ও আবিষ্কার
ক্ষেত্র আবিষ্কার
জামালগঞ্জ (জয়পুরহাট) ১৯৬২
তিলকপুর (জয়পুরহাট) ২০১৫
খালাশপীর (রংপুর) ১৯৮৯
বড়পুকুরিয়া (দিনাজপুর) ১৯৮৫
দীঘিপাড়া (দিনাজপুর) ১৯৯৪
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) ১৯৯৭

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি:

  • অবস্থান : দিনাজপুর থেকে ৫২ কিলোমিটার দক্ষিণে পার্বতীপুর থানার হামিদপুর ইউনিয়ন।
  • গুণগত মান: এ খনির কয়লায় বিটুমিনাস সালফারের পরিমাণ নগণ্য। এতে সালফারের পরিমাণ ০.৯৫ ভাগ।
  • কয়লার স্তরের পুরুত্ব: ৩৭ মিটার
  • কাজ শুরু: ১৯৯৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর
  • নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান: চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন।
  • উত্তোলিত কয়লা ৮৩% ব্যবহৃত হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য।
  • পিট কয়লা ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালী এবং শিল্প কারখানার কাজে।
  • রানীপুকুর কয়লা ক্ষেত্র রংপুর জেলায় অবস্থিত।
  • ময়মনসিংহ প্রভৃতি স্থানে পীট কয়লা পাওয়া গেছে।
  • দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি দিনাজপুরের নওয়াবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়ায়।
  • জয়পুরহাটে জামালগঞ্জে কয়লা পাওয়া যায়।

খনিজ তেল (Mineral Oil) :

  • সিলেট জেলার হরিপুরে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র, রশীদপুর ও তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার বরমচালে একটি তেলক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।
  • বাংলাদেশে ১৯৮৬ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে সর্বপ্রথম তেল পাওয়া যায়। হরিপুর তেলক্ষেত্র থেকে ১৯৮৭ সালে তেল উত্তোলন শুরু হয় এবং ১৯৯৪ সালে তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।
  • বাংলাদেশের একমাত্র তেল পরিশোধন কেন্দ্র - ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড।
  • বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম আইন কার্যকর হয় - ১৯৭৪ সালে।

অন্যান্য খনিজ সম্পদ

  • কঠিন শিলা (Hard Rock) : দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় ১৯৭৩ সালে কঠিন শিলা আবিষ্কৃত হয়। এই খনির বিস্তৃতি ১.৪৪ বর্গ কিলোমিটার। এই খনিতে ফ্লারারিড পানির আভাস পাওয়া গেছে যা মহাকাশযানের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বংপুর জেলায় বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, লুবা, জিয়াইনল্যান্ডে, রংপুরের পাঠানে: পঞ্চগড়ে শক্ত পাথরের মজুদ আছে। কঠিন শিলা রাস্তা তৈরি এবং রেলওয়ে ব্যাসল্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • চুনাপাথর (Lime Stone) : টাকেরহাট, লালঘাট, জাফলং, ভাঙ্গারহাট, জকিগঞ্জ, জয়পুরহাট, জামালগঞ্জ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও সীতাকুন্ডে চুনাপাথর পাওয়া যায়। নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার তাজপুর গ্রামে দেশের সর্ববৃহৎ চুনাপাথর খনির সন্ধান মিলেছে।
  • চীনা মাটি (China Clay) বা শ্বেতমৃত্তিকা (White Clay) : নেত্রকোনার বিজয়পুর, নওগাঁর পত্নীতলা, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে চীনামাটি পাওয়া যায়।
  • সিলিকা বালি (Solica Sand) বা কাচ বালি : হবিগঞ্জের নয়াপাড়া, ছাতিয়ান, শাহবাজার, সুনামগঞ্জের টাকেরহাট, চট্টগ্রামের দোহাজারী, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, শেরপুরের বালিজুরি, জামালপুরের গারো পাহাড়ে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সিলিকা বালি পাওয়া যায়।
  • তেজস্ক্রিয় বালু : কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায়। এদের 'কালো সোনা'ও বলা হয়। এগুলোর মধ্যে জিরকন, ইলমেনাইট, মোনাজাইট ও জাহেরাইট উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভূবিজ্ঞানী এম এ জাহের আবিষ্কৃত পদার্থটিকে তাঁর নাম অনুসারে জাহেরাইট রাখা হয়েছে।
  • নুড়িপাথর (Pebbles) : সিলেট, পঞ্চগড় এবং শালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে নুড়িপাথর পাওয়া যায়।
  • গন্ধক (Sulphur) : চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় বাংলাদেশের একমাত্র গন্ধক খনি অবস্থিত।
  • তামা (Copper) : রংপুর জেলার রানীপুকুর, পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় তামার সন্ধান পাওয়া গেছে।
  • ইউরেনিয়াম (Uraniuum) : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পাহাড়ে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে।
  • খনিজ বালি (Mineral Sand) : কুতুবদিয়া ও টেকনাফে প্রচুর পরিমাণে খনিজ বালি পাওয়া যায়।
  • লৌহ/লোহার খনি : বাংলাদেশের প্রথম লৌহখনি আবিষ্কৃত হয় - ২০১৩ সালে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার মুসিদপুর গ্রামে।
নবীনতর পূর্বতন