আপেক্ষিক তত্ত্ব | Theory of Relativity

'থিউরি অব রিলেটিভিটি': পদার্থ ও শক্তি প্রকৃতপক্ষে অভিন্ন। পদার্থকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়। ভরবিশিষ্ট কোন পদার্থকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে প্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ হবে,
E = mc2;
এখানে, E = প্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ
c = আলোর বেগ।
একেই বলা হয়- পদার্থ ও শক্তির অভিন্নতা বিষয়ক সূত্র বা 'থিউরি অব রিলেটিভিটি'।

  • 'থিউরি অব রিলেটিভিটি' বা আপেক্ষিকতাবাদ- এর প্রণেতা: আলবার্ট আইনস্টাইন।
  • যে বাঙ্গালী বৈজ্ঞানিক আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে যুক্তভাবে একটি তত্ত্ব দিয়েছিলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বোস (Prof. M.N Bosh)।
  • প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বোস আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে যুক্তভাবে যে তত্ত্ব দিয়েছিলেন তা কি নামে পরিচিত: বোস-আইনস্টাইন ফর্মুলা।
  • আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রদান করেন - আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে।
  • আপেক্ষিক তত্ত্বে - ভর ও শক্তি সমতুল্য। (বলবিদ্যায় ভর ও শক্তি স্বাধীন)
  • আপেক্ষিক তত্ত্বে - স্থান, কাল ও দৈর্ঘ্য পরিবর্তনশীল (বলবিদ্যায় পরম/ নিরপেক্ষ রাশি)
  • কোন বিষয় অন্য কোন কিছুর সাপেক্ষে বিবেচনা করাই হলো আপেক্ষিকতা।
  • আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুসারে- পরম গতি নিরর্থক, সব গতিই আপেক্ষিক।
  • আপেক্ষিক তত্ত্ব ২ প্রকার:
    ১. আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব (১৯০৫)
    ২. আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (১৯১৬)
  • বিজ্ঞানী মাইকেলসন ও মর্লিও পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়- ইথার বলে কিছু নেই/ আলোর বেগ ধ্রুব।
  • আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বের মৌলিক স্বীকার্য - ২টি। যথা:
    ১. জড় কাঠামোতে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রসমূহ অভিন্ন থাকে
    ২. শূন্যস্থানে সকল পর্যবেক্ষকের নিকট আলোর বেগ ধ্রুবক।
  • আপেক্ষিকতা অনুসারে গতিশীল অবস্থায়- দৈর্ঘ্য সংকুচিত হয় এবং সময় ও ভর বৃদ্ধি পায়।
  • ভর শক্তিতে এবং শক্তিকে ভরে রুপান্তরের জন্য আইনস্টাইনের বিখ্যাত সমীকরণ হলো: E = mc2
নবীনতর পূর্বতন