আলোক যন্ত্রপাতি

দৃষ্টি সহায়ক যন্ত্র:
ক্যামেরায় গঠিত বিম্বের ধরণ: সদ, উল্টো ও খর্বিত বিম্ব ।

সদ, উল্টো ও খর্বিত বিম্ব

ফটোগ্রাফিক প্লেটে যে আবরণ থাকে: সিলভার হ্যালাইড (AgBr বা AgI)।

চোখ :
কোন বস্তু হতে আলোক রশ্মি চোখের লেন্স দ্বারা প্রতিসরিত হয়ে রেটিনায় বিম্ব গঠন করে।
রেটিনায় গঠিত বিম্বটি হয়: সদ, উল্টো ও খর্বিত বিম্ব ।
চোখের রেটিনা আলোক শক্তিকে তড়িৎ সংকেতে পরিণত করে।
চোখের পাতার সাথে ক্যামেরার যে অংশের মিল বিদ্যমান: সাটার।
দুইটি চোখ থাকার সুবিধা: দুইটি বস্তুর প্রকৃত অবস্থান, তাদের পারস্পরিক দূরত্ব নির্ণয়ে এবং বস্তু এবংসম্পর্কে ত্রিমাত্রিক ধারণা স্পষ্ট হওয়ার জন্য দুইটি চোখের প্রয়োজন ।
স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব: ২৫সেন্টিমিটার।
স্পষ্ট দর্শনের দূরতম দূরত্ব: অসীম।
দর্শনাভূতির স্থায়িত্বকাল: ০.১ সেকেন্ড।

আমাদের দর্শানুভূতি বিভিন্ন আলোতে :
আলোয় অন্ধকারে
সর্বোচ্চ সবুজ-হলুদ নীল
সর্বনিম্ন লাল বা বেগুনি লাল

রঙিন টেলিভিশনের পিক্সেলে রঙিন ছবি উৎপাদনের জন্য লাল, নীল ও সবুজ এ তিনটি রং এর পৃথক পৃথক ইলেকট্রন টিউব থাকে । রঙ্গিন টেলিভিশনের গ্রাহক যন্ত্রেও তিনটি রং যেমন লাল, নীল ও সবুজের জন্য তিনটি ইলেকট্রন গান ব্যবহার করা হয়। এর পর্দাও তৈরি হয় তিন রকম ফসফর দানা দিয়ে। ইলেকট্রন গান থেকে যখন ফসফরের উপর ইলেকট্রন বীম পতিত হয় তখন একটা বিশেষ রং শুধু একটি বিশেষ রং এর দানাকে আলোকিত করে। ফলে পর্দায় একই সাথে ফুটে ওঠে লাল, নীল ও সবুজ রঙের বিন্দু । যার বিভিন্ন রকম মিশ্রণে টেলিভিশন পর্দায় ফুটে ওঠে রঙিন ছবি।

চোখের ত্রুটি :
চোখে প্রধানত দুই ধরনের ত্রুটি দেখা যায়ঃ
ক) হ্রস্ব দৃষ্টি বা মাইওপিয়া
খ) দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া

হ্রস্ব দৃষ্টি (মাইওপিয়া): এই ত্রুটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস ভালভাবে দেখতে পায় না কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় ।
ত্রুটির কারণ: চোখের ক্ষীণদৃষ্টি ত্রুটির কারণ দুটি-
[ক] অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বেড়ে যাওয়া
[খ] চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা বেড়ে যাওয়া
চিকিৎসা: অবতল লেন্স ব্যবহার করা।

হ্রস্ব দৃষ্টি বা মাইওপিয়া

দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া:
এই ত্রুটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস দেখতে পায় কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না।
ত্রুটির কারণ: চোখের দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটির কারণ দুটি -
১. অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ কমে যাওয়া
২. চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা কমে যাওয়া
চিকিৎসা: উত্তল লেন্স ব্যবহার করা ।

দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া

নিচে উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্স এর চিত্র দেওয়া হল :

উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্স

বিষম দৃষ্টি (Astigmatism): চোখের যে ত্রুটির কারণে একই দূরত্বে অবস্থিত আনুভূমিক ও উলম্ব রেখাকে সমান স্পষ্টভাবে দেখা যায় না ৷

বিষম দৃষ্টি বিষম দৃষ্টির চিত্র

দৃষ্টি সহায়ক যন্ত্ৰ: যে সকল যন্ত্র কোন বস্তু দেখার ব্যাপারে আমাদের চোখকে সাহায্য করে তাদেরকে দৃষ্টি সহায়ক যন্ত্র বলে। যেমন: অণুবীক্ষণ যন্ত্র বা মাইক্রোস্কোপ, দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা টেলিস্কোপ, বাইনোকুলার ইত্যাদি ।

অণুবীক্ষণ যন্ত্র বা মাইক্রোস্কোপ : চোখের নিকটবর্তী ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখা যায় ।

অণুবীক্ষণ যন্ত্র

সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র বা অতশী কাঁচে গঠিত বিম্ব: সোজা, বিবর্ধিত ও অসদ বিম্ব ।

ম্যাগনিফাইং গ্লাস

জটিল অণুবীক্ষণ যন্ত্রে গঠিত চূড়ান্ত বিম্ব: উল্টো ও বিবর্ধিত ।

দুরবীক্ষণ যন্ত্র: যে যন্ত্রের সাহায্যে বহু দূরের বস্তু পরিস্কারভাবে দেখা যায় তাকে দুরবীক্ষণ যন্ত্র বলে ।

দূরবীক্ষণ যন্ত্র

নভোবীক্ষণ যন্ত্র বা টেলিস্কোপ: আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্যে যে দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে নভোবীক্ষণ বা নভো টেলিস্কোপ বলে ।
আবিষ্কারক: ডেনমার্কের বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ কেপলার।

টেলিস্কোপ

পেরিস্কোপ:
যে নীতির উপর তৈরি হয়: প্রতিফলন ও ব্যতিচার ।
ব্যবহার: ভীড় এড়িয়ে খেলা দেখা, শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সাবমেরিনের নাবিকেরা পানির নিচ থেকে উপরের দৃশ্য দেখতে এ যন্ত্র ব্যবহার করেন ৷

পেরিস্কোপ
নবীনতর পূর্বতন