সুলতান জমজমার সংক্ষিপ্ত কাহিনী

সুলতান জমজমার কাহিনী সংক্ষেপ

আল্লাহর পরম বন্ধু হযরত ঈসা (আ) একদিন এক মৃত ব্যক্তির মস্তকের দুর্গতি দেখে আল্লাহর কাছে এর দুর্গতির কারণ জানতে চান। তখন আল্লাহ জিব্রাইলকে প্রেরণ করেন। জিব্রাইল ছিন্নমস্তককে দুর্গতির কারণ জিজ্ঞেস করলে মস্তক জানালো যে, সে ছিল সপ্তদ্বীপের রাজা; তার ছিল হাজার হাজার দাস-দাসী, পণ্ডিত ও সৈন্যের সংখ্যাও ছিল অগণন। সে দীন-দুঃখীকে সন্তুষ্ট করতো, প্রজাদের মঙ্গলের জন্য নৈশ-নিদ্রা পরিহার করে নগরে ঘুরত, দুর্জনকে শাস্তি দিত। তার রাজত্বকাল চারশত বছর। তার মৃত্যুর পর এক হাজার ত্রিশ বছর পার হয়েছে। তার নাম সুলতান জমজমা। সামদেশের রাজা। এভাবে কথা বলার পর ছিন্নমস্তক শাস্তি পাওয়ার হেতু বর্ণনা করলেন। হযরত ইসা (আ) তাকে পুনরায় জীবনধারণ করতে অনুরোধ করেন। সুলতান জমজমা দুর্গতির কথা ভেবে অস্বীকৃতি জানালো। তখন ঈসা (আ) সবিনয়ে নীতি-উপদেশ প্রদান করলে সুলতান জমজমার পুনর্জীবিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগলো। ঈসা (আ) এর প্রার্থনায় আল্লাহ তাঁর জীবন দিলেন। অতপর সে দানধর্ম ও নানা সৎকর্মের মধ্য দিয়ে সত্তর বছর পরমায়ু লাভ করে। গ্রন্থটির রচয়িতা শেখ ফয়জুল্লাহ ।

أحدث أقدم