বিখ্যাত বাংলা গান

বাংলা গান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার মানুষ গান গেয়ে আসছে। বাংলা গানের ধারা ও ঐতিহ্য বহুমুখী ও সমৃদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত অসংখ্য গান বাংলার সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। যা রবীন্দ্র সংগীত নামে পরিচিত । রবীন্দ্র সংগীতের বিভিন্ন ধারার মধ্যে রয়েছে প্রেমের গান, আধ্যাত্মিক গান, প্রকৃতির গান, দেশাত্মবোধক গান, ইত্যাদি। কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গান বাংলার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। যা নজরুল সঙ্গীত নামে পরিচিত । নজরুল সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারার মধ্যে রয়েছে বিদ্রোহী গান, প্রেমের গান, আধ্যাত্মিক গান, দেশাত্মবোধক গান, ইত্যাদি। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মূল্যবান সম্পদ। লোকগানের বিভিন্ন ধারার মধ্যে রয়েছে বাউল গান, পাঁচালি, ভাটিয়ালি, জারি , সারি ইত্যাদি। আধুনিক বাংলা গানের মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্রের গান, পপ গান, রক গান, ফোক গান, ইত্যাদি।

বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত

"আমার সোনার বাংলা, ....'। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গানটি রচিত হয়েছিল। গানটিতে বাংলার প্রকৃতির কথা প্রধানভাবে স্থান পায়। ১৩১২ বঙ্গাব্দে (১৯০৫ সাল) 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। গানটি রবীন্দ্রনাথের 'গীতবিতান' গ্রন্থের স্বরবিতানের স্বদেশ পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। এটি গগণ হরকরার সুরের অনুকরণে রচনা করেন। চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার বিখ্যাত 'জীবন থেকে নেওয়া' কাহিনীচিত্রে এই গানের চলচ্চিত্রায়ন করেন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ তারিখে পল্টন ময়দানে ঘোষিত স্বাধীনতার ইশতেহারে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং তা গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বাংলাদেশের সংবিধানে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয়। এটি ছিল মূলত একটি কবিতা। ২৫ চরণ বিশিষ্ট এই কবিতার প্রথম ১০ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। তবে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রথম ৪ চরণ বাজানো হয়। গানটির ইংরেজী অনুবাদ করেন সৈয়দ আলী আহসান (Sayed Ali Ahsan (১৯২২-২০০২) । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা এবং শ্রীলংকার জাতীয় সঙ্গীতের সুরকার।

বাংলাদেশের রণ সঙ্গীত

রণ সঙ্গীত হলো এক প্রকার গান যা যুদ্ধের উদ্দীপনা জাগানোর জন্য গাওয়া হয়। বাংলাদেশের রণ সঙ্গীতের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশের রণ সঙ্গীতের উৎপত্তি লক্ষ্য করা যায় মধ্যযুগে। রাজা-মহারাজারা যুদ্ধে যাওয়ার সময় সৈনিকদের উৎসাহিত করার জন্য 'বীরগীত' গাওয়া হত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রণ সঙ্গীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মনে দেশপ্রেম ও সাহস জাগানোর জন্য বিভিন্ন রণ সঙ্গীত রচিত ও গাওয়া হয়েছিল। 'চল্ চল্ চল্', 'হে মুক্তিযোদ্ধা', 'এবার ফাঁসি দেওয়া হবে', 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' ইত্যাদি রণ সঙ্গীত আজও জনপ্রিয়। তবে কাজী নজরুল ইসলাম কর্তৃক ১৯২৯ সালে লিখিত 'চল্ চল্ চল্' দাদরা তালের এই সঙ্গীতটি ১৯৭২ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশের রণ সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়। বাংলাদেশের রণ সঙ্গীতের রচয়িতা/ গীতিকার ও সুরকার কাজী নজরুল ইসলাম। 'চল্ চল্ চল্' গানটি 'শিখা' পত্রিকায় ১৯২৯ সালে (বাংলা ১৩৩৫ সালে) প্রথম প্রকাশ হয় । গানটির শিরোনাম ছিল 'নতুনের গান'। এটি 'সন্ধ্যা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। উৎসব অনুষ্ঠানে গানটির ২১ চরণ বাজানো হয়। বাংলাদেশের রণ সঙ্গীতের কলিঃ

"চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্ রে চল্ রে চল।
..........."

বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীত

ক্রীড়া সঙ্গীত হলো এক প্রকার গান যা খেলাধুলার উৎসাহ ও আনন্দ বর্ধন করে। বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীতের ঐতিহ্য দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীতের উৎপত্তি লক্ষ্য করা যায় মধ্যযুগে। 'পাল-গান' নামে পরিচিত এক প্রকার গান খেলাধুলার সময় গাওয়া হত। বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীতের গীতিকার / রচয়িতা সেলিমা রহমান এবং সুরকার খন্দকার নূরুল আলম। বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীতের কলিঃ

" বাংলার দূরন্ত সন্তান আমরা দুর্দম দুর্জয়
ক্রীড়াজগতের শীর্ষে রাখবো আমরা শৌর্যের পরিচয়।,
সুন্দর দেহ, সুন্দর মন, বিধাতার সেরা দান
আরো সুন্দর করি ক্রীড়াচর্চায় উন্নত করি মহাপ্রাণ।
............"

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গান

  1. গানের কলি ≔ "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি" । গানটির গীতিকার ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । এটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ।
  2. গানের কলি ≔ “মানুষ মানুষের জন্য” । গানটির গীতিকার , সুরকার ও শিল্পী ভূপেন হাজারিকা ।
  3. গানের কলি ≔ ”আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” । এটি প্রথমে ছিল আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর একটি কবিতা যা পরে গান হিসাবে সংকলিত হয়। হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত 'একুশে ফেব্রুয়ারি' গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়। গানটির গীতিকার আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী । গানটির প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ বর্তমানে সুরকার আলতাফ মাহমুদ এবং শিল্পী আব্দুল লতিফ ।
  4. গানের কলি ≔ “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই” । গানটির গীতিকার মান্না দে। (ভারত) , সুরকার গৌরি প্রসন্ন মজুমদার ও শিল্পী সুপর্ণ কান্তি ঘোষ ।
  5. গানের কলি ≔ “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা” । গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার , সুরকার আপেল মাহমুদ ও শিল্পী প্রথমে স্বপ্না রায় ও পরে রেবেকা সুলতানা ।
  6. গানের কলি ≔ “আমি বাংলার গান গাই” । গানটির গীতিকার ও সুরকার প্রতুল মুখপাধ্যায় এবং প্রথম গায়ক প্রতুল মুখপাধ্যায় বর্তমানে মাহমুদুজ্জামান বাবু
  7. গানের কলি ≔ “মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি” । গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার , সুরকার আপেল মাহমুদ ও শিল্পী আপেল মাহমুদ ।
  8. গানের কলি ≔ “তুমি আজ কত দূরে” । গানটির গীতিকার প্রণব রায় , সুরকার সুবল দাশগুপ্ত ও শিল্পী জগন্ময় মিত্র।
  9. গানের কলি ≔ “এক নদী রক্ত পেরিয়ে” । গানটির গীতিকার ও সুরকার খান আতাউর রহমান , শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ ।
  10. গানের কলি ≔ “ধনে ধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা” । গানটির গীতিকার ও সুরকার দ্বিজেন্দ্র লাল রায় (ডি. এল, রায়) , শিল্পী সমবেত কণ্ঠ ।
  11. গানের কলি ≔ “মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে” । গানটির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার , সুরকার ও শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ।
  12. গানের কলি ≔ “সালাম সালাম হাজার সালাম” । গানটির গীতিকার ফজলে খোদা , সুরকার ও শিল্পী আবদুল জব্বার ।
  13. গানের কলি ≔ “জয় বাংলা বাংলার জয়” । গানটির গীতিকার গাজী মাযহারুল আনোয়ার ও সুরকার আনোয়ার পারভেজ।
  14. গানের কলি ≔ “খাঁচার ভিতর অচিন পাখি” । গানটির গীতিকার লালন শাহ ও শিল্পী ফরিদা পারভীন ।
  15. গানের কলি ≔ “ একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়” । গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার , সুরকার আপেল মাহমুদ ও শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ ।
  16. গানের কলি ≔ “কারা ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট” । গানটির গীতিকার , সুরকার ও শিল্পী কাজী নজরুল ইসলাম ।
  17. গানের কলি ≔ “এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদীর তটে” । গানটির গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর এবং শিল্পী ফরিদা পারভীন ।
  18. গানের কলি ≔ “চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল” । গানটির গীতিকার কাজী নজরুল ইসলাম ।
  19. গানের কলি ≔ “ একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল” । গানটির গীতিকার গাজী মাযহারুল আনোয়ার , সুরকার আনোয়ার পারভেজ এবং শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ ।
  20. গানের কলি ≔ “তুমি কি দেখেছ কহু জীবনের পরাজয়” । গানটির গীতিকার মোঃ মুনিরুজ্জামান , সুরকার সত্য সাহা এবং শিল্পী আবদুল জব্বার ।

অন্যান্য বিখ্যাত বাংলা গান

  1. গানের কলি ≔ "ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়, ওরা কথায় কথায় শিকল পড়ায় মোদের হাতে পায়ে" । গানটির গীতিকার ও সুরকার আবদুল লতিফ ।
  2. গানের কলি ≔ “সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা” । গানটির গীতিকার ও সুরকার আবদুল লতিফ ।
  3. গানের কলি ≔ “আমাদের সংগ্রাম চলবেই, জনতার সংগ্রাম চলবেই” । গানটির গীতিকার সিকানদার আবু জাফর ও সুরকার শেখ লুৎফর রহমান ।
  4. গানের কলি ≔ “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে” । গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার ।
  5. গানের কলি ≔ “তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে” । গানটির গীতিকার ও সুরকার আপেল মাহমুদ ।
  6. গানের কলি ≔ “শূণ্য এ বুকে পাখি মোর আয়” । গানটির গীতিকার কাজী নজরুল ইসলাম ।
  7. গানের কলি ≔ “সব কটা জানালা খুলে দাও না” । গানটির গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু , সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এবং শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ।
  8. গানের কলি ≔ “একাত্তরের মা জননী, কোথায় তোমার মুক্তি সেনার দল” । গানটির গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ।
  9. গানের কলি ≔ ”সুন্দর, সুবর্ণ, তারুণ্য লাবণ্য” । গানটির গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ।
  10. গানের কলি ≔ “সেই বেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে” । গানটির গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ।
  11. গানের কলি ≔ “পূর্ব দিগন্তে সর্ব উঠেছে” । গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার ও সুরকার সমর দাস ।
  12. গানের কলি ≔ “নোঙ্গর তোল তোল” । গানটির গীতিকার নইম গহর ও সুরকার সমর দাস ।
  13. গানের কলি ≔ “শোনো একটি মুজিবরের থেকে” । গানটির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও সুরকার অংশুমান রায় ।
  14. গানের কলি ≔ “ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো” । গানটির গীতিকার রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ।
  15. গানের কলি ≔ ”খাচার ভিতর অচিন পাখি ” । গানটির গীতিকার ও সুরকার লালন ফকির এবং শিল্পী ফরিদা পারভীন ।
  16. গানের কলি ≔ “আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন” । গানটির গীতিকার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ।
  17. গানের কলি ≔ ”মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা” । গানটির গীতিকার অতুল প্রসাদ সেন ।
  18. গানের কলি ≔ “মুক্তির মন্দির সোপানো তলে” । গানটির গীতিকার মোহিনী চৌধুরী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে ।
  19. গানের কলি ≔ “যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই ” । গানটির গীতিকার ও সুরকার হাসান মতিউর রহমান ।
  20. গানের কলি ≔ “যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা” । গানটির গীতিকার নাসিম খান ও সুরকার সেলিম আশরাফ ।
  21. গানের কলি ≔ “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা” । গানটির গীতিকার নইম গহর ও সুরকার অসিত রায় ।
  22. গানের কলি ≔ “রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি” । গানটির গীতিকার আবদুল কাশেম সন্দীপ ও সুরকার সুজেয় শ্যাম ।
  23. গানের কলি ≔ “মাগো ভাবনা কেন” । গানটির গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও সুরকার সমর দাস ।
  24. গানের কলি ≔ “মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে” । গানটির গীতিকার এম এস হেদায়েত ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ।
  25. গানের কলি ≔ “বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা ” । গানটির গীতিকার ও সুরকার সলিল চৌধুরী ।
  26. গানের কলি ≔ “প্রাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে ” । গানটির গীতিকার শেখ ওয়াহিদ ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গীত

  • জারি (Jaari) ≔ ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের গান।
  • গম্ভীরা (Gombhira) ≔ চাঁপাইনবাবগঞ্জ (বৃহত্তর রাজশাহী) অঞ্চলের গান।
  • চটকা (Chatka) ≔ রংপুর অঞ্চলের গান।
  • ভাওয়াইয়া (Bhaoyaiya) ≔ রংপুর অঞ্চলের গান। মূলত গরুর গাড়ী চালকদের মুখে এ গান শোনা যায়। বাংলাদেশের রংপুর ও ভারতের কুচবিহার জেলা এ গানের জন্মস্থান।
  • গাজীর গীত (Gajir geet) ≔ রংপুর অঞ্চলের গান ।
  • ভাটিয়ালী (Bhatiali) ≔ ময়মনসিংহ অঞ্চলের গান। জেলে-মাঝিদের গান হিসাবে সুপরিচিত। যেমন: ও কি গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চায়ারে। যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়, .... কত কাঁদিম মুই নিধুয়া পাথারে রে।
  • ভান্ডারী (Bhandari) ≔ চট্টগ্রাম অঞ্চলের গান ।
  • সারি (Shaari) ≔ নৌকাবাইস প্রতিযোগিতার সময় পরিবেশিত গান ।
  • কীর্তন (Kirtan) ≔ রাধাকৃষ্ণের প্রশংসাসূচক গান।
  • পালা (Pala) ≔ সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণার হাওড় অঞ্চলের গান। এটি মূলত দুইপক্ষের মধ্যে গানের প্রতিযোগিতা।
  • মুর্শিয়া (Mursiya) ≔ শিয়া মতাবলম্বীদের পশ্চিমা ভাবধারার গান ।
  • লেটোস গান (Letto's song) ≔ ময়মনসিংহ অঞ্চলের গান ।
  • বাউল গান ≔ 'বাউল' শব্দটি এসেছে বাউর' শব্দ থেকে যার অর্থ হচ্ছে বাতুল অথবা পাগল। বাউলরা কখনো রীতিবন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে চান না। তারা সংসারত্যাগী মুক্ত পুরুষ। বাউলদের সাধনাই হচ্ছে সঙ্গীতচর্চা। UNESCO ২০০৫ সালে বাউল গানকে Heritage of Humanity (মানবতার ধারক) বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
নবীনতর পূর্বতন