বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তরবিশিষ্ট: প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, এবং উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর। বাংলাদেশে ছয় থেকে দশ বছরের বয়সী শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং অবৈতনিক করা হয়েছে । এই স্তরে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিতে মৌলিক শিক্ষা যেমন পঠন, লেখা, গণনা ইত্যাদি শেখার মাধ্যমে তাদের শিক্ষার ভিত্তি গঠন করা। বাংলাদেশে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয় ৫ বছর মেয়াদী এই প্রাথমিক শিক্ষা । মাধ্যমিক শিক্ষা বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার পরবর্তী ধাপ। এই স্তরে শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত ও অগ্রগতিশীল শিক্ষা প্রদান করা হয়, যাতে তারা আগামী স্তরে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান এবং বৈশিষ্ট্যিক ক্ষমতা উন্নত করা হয়। এটি ও সরকারি এবং বেসরকারি উভয়ভাবেই পরিচালিত হয় যা ৭ বছর মেয়াদী - এর মধ্যে ৩বছর মেয়াদী জুনিয়র, ২ বছর মেয়াদী মাধ্যমিক এবং ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়। উচ্চশিক্ষা বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মেডিকেল স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এই স্তরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত জ্ঞান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে তারা পেশাদার জীবনে সফল হতে পারে। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দমত বিষয়ে স্নাতক / স্নাতকোত্তর অথবা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পারে।

বাংলাদেশের শিক্ষা কমিশন

ব্রিটিশ আমলে শিক্ষা : ১৮৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮২ সালে উইলিয়াম হান্টারকে চেয়ারম্যান করে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এটি উপমহাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন যা 'হান্টার কমিশন' নামে পরিচিত । এ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিস্তারিত সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ' নাথান কমিটি' গঠন করা হয়। ১৯১৯ সালে স্যাডলার কমিশন ঢাকায় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ পেশ করে। ১৯২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট পাশ হয়। বঙ্গভারত উপমহাদেশে শিক্ষার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে ১৯৩৫ সালে। ১৯৩৯ সালে ফ্রাঙ্ক লিউব্যাকের 'একজনকে একজন শিখাও' শ্লোগান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তান আমলে শিক্ষা: ইস্ট বেঙ্গল সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড স্থাপিত হয় । ১৯৪৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ১৯৫২ সালে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৪ থেকে ৫ বছরে উন্নীত করা হয়। ১৯৫৬ সালে বয়স্ক শিক্ষাকে ভি এইড কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়। একই সালে মি. বিভার ঢাকায় স্বাক্ষরতা কেন্দ্র স্থাপন করেন।

বাংলাদেশ আমলে শিক্ষা: ১৯৭২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠিত হয় ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশবলে। বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন ' কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন ' বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। ১৯৭৬ সালে বেনবেইস এবং ১৯৮২ সালে নায়েম প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা কর্মসূচি চালু হয়।

বাংলাদেশের শিক্ষা কমিশন
শিক্ষা কমিশনের নাম কমিশনের প্রধান গঠনকাল
১. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন ড. কুদরত-ই-খুদা ২৬ জুলাই, ১৯৭২
২. মজিদ খান শিক্ষা কমিশন ড. মজিদ খান ১৯৮৩
৩. মফিজ উদ্দিন শিক্ষা কমিশন ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ ১৯৮৮
৪. শামসুল হক শিক্ষা কমিশন ড. এম শামসুল হক ১৯৯৭
৫. মনিরুজ্জামান মিঞা শিক্ষা কমিশন ড. মনিরুজ্জামান মিঞা ১৫ জানুয়ারি, ২০০৩
বাংলাদেশের শিক্ষানীতি কমিটি
শিক্ষানীতি কমিটি কমিটির প্রধান গঠনকাল
১. জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পরিষদ কাজী জাফর আহমেদ ও আবদুল বাতেন ৫ আগস্ট, ১৯৭৮
২. শিক্ষা সংস্কার বিশেষজ্ঞ কমিটি মুহম্মদ আব্দুল বারী ২৪ ডিসেম্বর, ২০০১
৩. জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ৮ এপ্রিল, ২০০৯

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার স্তর

বাংলাদেশে শিক্ষার তিনটি ধারা যথাঃ অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষা। মানুষ প্রকৃতি ও সামাজিক পরিবেশ থেকে কিছু না কিছু প্রতিনিয়ত শিখছে । এই যে অনির্দিষ্ট নানা উপায়ে মানুষ শিখছে এটাই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা মূলত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক। অর্থাৎ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নির্ধারিত শিক্ষাক্রম ভিত্তিক যে শিক্ষা ধারা প্রবর্তিত হয়েছে তাকেই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বা Formal Education বলে। যেমন: স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ইউনিভার্সিটির শিক্ষা ইত্যাদি। সাধারণত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে, সুনির্দিষ্ট জনগোষ্ঠির জন্য, বিশেষ উদ্দেশ্যে সংগঠিত এবং বিশেষ শিখন চাহিদা পূরণের জন্য, আলাদাভাবে বা সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত শিক্ষামূলক কার্যক্রমই হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা । যেমন- বয়স্ক শিক্ষা , ঝড়ে পড়া শিশুদের জন্য আলাদা শিক্ষা যা বাংলাদেশে আনন্দ স্কুল নামে পরিচালিত হচ্ছে বিদেশী সহায়তায় । বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা মূলত বহুমুখী । সকল শিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় । তবে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদাভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রয়েছে । বর্তমানে বাংলাদেশে চার ধরনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে যথাঃ

  1. সাধারণ শিক্ষা
  2. কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা
  3. মাদ্রাসা শিক্ষা
  4. প্রফেশনাল বা পেশাগত শিক্ষা

ভাষাগত দিক থেকে দুই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত- বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজী মাধ্যম । তবে ইংরেজি ভাষার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের জন্য প্রাথমিক হতে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত ইংরেজি ভাষায় ইংরেজি বিষয় হিসেবে পাঠ্যবই ও সাহিত্যপাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চার স্তরে বিভক্ত যথাঃ

১. প্রাথমিক স্তর:

  • মেয়াদ : ৫ বছর মেয়াদী
  • পরিধি: ১ম - ৫ম শ্রেণী
  • বয়সসীমা: ৬ থেকে ১১+ বছর
  • শিশুদের জন্য প্রাথমিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ভিত্তি স্থাপন
  • বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান
  • জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক নির্ধারিত পাঠ্যক্রম
  • শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (PTI)
  • প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালনা করা হয় যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ।
  • প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণীত হয় 'NCTB'- এর দায়িত্বে। 'NCTB'-এর পূর্ণরূপ হলো National Curriculum and Textbook Board।

২. মাধ্যমিক স্তর:

  • মেয়াদ : ৫ বছর মেয়াদী
  • পরিধি: ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণী
  • বয়সসীমা: ১১ থেকে ১৬+ বছর
  • তিন বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (JSC) অর্থাৎ ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম এবং দুই বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (SSC) পরীক্ষা অর্থাৎ নবম থেকে দশম
  • বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয় যেমন: সরকারি, বেসরকারি, মাদ্রাসা, কারিগরি
  • মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (Dhaka, Chittagong, Rajshahi, Barisal, Comilla, Sylhet, Jessore, Dinajpur, Mymensingh, Madrasah) কর্তৃক পরিচালনা করা হয় । যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ।

৩. উচ্চ মাধ্যমিক স্তর:

  • মেয়াদ : ২ বছর মেয়াদী
  • পরিধি: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী
  • বয়সসীমা: ১৬ থেকে ১৭+ বছর
  • উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (HSC) পরীক্ষা পরিচালনা করা হয় ।
  • বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয় যেমন: সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা , কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
  • বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে ।
  • মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (Dhaka, Chittagong, Rajshahi, Barisal, Comilla, Sylhet, Jessore, Dinajpur, Mymensingh, Madrasah) কর্তৃক পরিচালনা করা হয় ।
  • জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যা প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শ্রেণির শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করে।

৪. উচ্চশিক্ষা :
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পকলা বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ইত্যাদিতে ভর্তি হয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর/এম. ফিল/পি.এইচ.ডি অর্জন করতে পারে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার স্তর (১জুন, ২০১০ এ শিক্ষনীতি অনুমোদন পায়)
প্রাথমিক স্তর ১ম - ৮ম শ্রেণি
মাধ্যমিক স্তর ৯ম-১০ম শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক স্তর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চতর স্তর পরবর্তী শিক্ষা-
  • প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
  • মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  • বাংলাদেশে সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে : ২০১৫ সালের মধ্যে
  • প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বপ্রথম অবৈতনিক, সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করে : কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন
  • বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয় : ১৯৭৪ সালে
  • বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক করণ) আইন পাস হয় : ১৯৯০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি
  • বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয় : ১ জানুয়ারি, ১৯৯২ । প্রাথমিকভাবে ৬৮টি উপজেলায়
  • বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা দেশব্যাপী সম্প্রসারিত হয় : ১ জানুয়ারি, ১৯৯৩
  • প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে অর্জন উপযোগী প্রান্তিক যোগ্যতা : বর্তমানে ১০টি ।
  • বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি চালু হয় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০২
  • বাংলাদেশে সরকার প্রথম ছাত্রী উপবৃত্তি চালু করে : জানুয়ারি, ১৯৯৪
  • ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে : ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত
  • মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় : স্নাতক (ডিগ্রি) বা সমমান পর্যন্ত
  • উপমহাদেশে প্রথম নৈশ বিদ্যালয় চালু হয় : ১৯১৮ সালে
  • প্রাথমিক শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী অনুপাত : ৪৮.৯২: ৫১.০৮ ( বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২০)
  • প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় : ১ মার্চ, ১৯৮১ সালে ।
  • প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় : ১৯৯২ সালে ।
  • প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয় : ২০০৩ সালে ।

নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২২ সালে ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (মাদ্রাসা, কারিগরি ও জেনারেল) এই কারিকুলামের পাইলটিং শুরু হয়। ২০২৩ সালে নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক বিন্যস্ত করে নতুন বই প্রণয়নের মাধ্যমে শ্রেণি পাঠদান শুরু হয় এবং ২০২৪ সাল থেকে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে পাঠদান কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে । এ কারিকুলামের মাধ্যমে বাতিল হচ্ছে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি। নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ এর উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনসমূহের মধ্যে নিম্নলিখিত কিছু পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য:

  1. শিক্ষাক্রমের নীতি:
    ● জ্ঞানভিত্তিক থেকে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম ।
    ● সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, এবং জীবন দক্ষতার উপর জোর প্রদান ।
    ● মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, এবং নাগরিকত্বের উপর গুরুত্ব প্রদান ।
  2. পরীক্ষা ব্যবস্থা:
    ● সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়ন (Continuous Assessment) এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নে অধিকতর জোর প্রদান ।
    ● তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই তবে শিখনকালীন বা ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে ।
    ● চতুর্থ শ্রেণি থেকে সামষ্টিক পরীক্ষার পাশাপাশি ধারাবাহিক মূল্যায়ন ।
    ● বর্তমানে প্রচলিত ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক/ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণির জেএসসি ও জেডিসি থাকবে না। প্রথম পাবলিক পরীক্ষা হবে দশম শ্রেনিতে গিয়ে। শুধুমাত্র দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির উপর ভিত্তি করে এসএসসি পরীক্ষা ।
    ● একাদশ ও দ্বাদশে গিয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশ। আর সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৭০ শতাংশ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি আলাদা আলাদা পরীক্ষা, এই দুই পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয়ে রেজাল্ট দেওয়া হবে এইচএসসি পরীক্ষার ।
    ● শুধু কাগজ-কলমনির্ভর পরীক্ষা হবে না। এসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, যোগাযোগ, হাতে-কলমের কাজ ইত্যাদি বহুমুখী পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
  3. বিষয়বস্তু:
    ● প্রাক-প্রাথমিকে সরকার নির্ধারিত কোনো বই নেই । শিক্ষকেরাই শিক্ষক সহায়িকা অনুযায়ী শেখাবেন।
    ● প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে ৩টি বই ।
    ● চতুর্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ৮ বিষয় ।
    ● ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন ১০টি বিষয় রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, জীবন ও জীবিকা, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা (প্রত্যকে ধর্ম অনুযায়ী) এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। এগুলোর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ আর ৪০ শতাংশ হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন।
    ● নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিকে থাকছে না বিভাগ। এতদিন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করত। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা নবম-দশম শ্রেণিতে ও উপরোক্ত ১০টি বিষয় থাকবে। যার ৫০ শতাংশ হবে শিখনকালীন মূল্যায়ন, বাকি ৫০ শতাংশ হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন।
  4. শিক্ষকের ভূমিকা:
    ● শিক্ষক কেবল জ্ঞান প্রদানকারী নয়, বরং শিক্ষার্থীদের শেখার সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন ।
    ● শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর প্রদান ।
  5. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ ।
  6. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত উন্নত করার চেষ্টা ।
  7. বেসরকারি স্কুলের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উন্নত করা ।
  8. শিক্ষাব্যবস্থার দীর্ঘস্থায়ী সংস্কারের জন্য জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন ।

নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ এর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। উল্লেখ্য যে, এই পরিবর্তনগুলি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে পরিবর্তন হতে পারে।

বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ড ও গ্রেডিং পদ্ধতি

বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষাবোর্ডের সংখ্যা ১১টি যথাঃ

  1. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা : দেশের প্রথম শিক্ষাবোর্ড; প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯২১
  2. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী : প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৬২
  3. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা : প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৬২
  4. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, যশোর : প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৬২
  5. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম : প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৯৫
  6. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, বরিশাল : প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৯৯
  7. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, সিলেট : প্রতিষ্ঠাকাল- ১৯৯৯
  8. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, দিনাজপুর : প্রতিষ্ঠাকাল- ২০০৬
  9. মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ময়মনসিংহ : দেশের সর্বশেষ শিক্ষাবোর্ড; প্রতিষ্ঠাকাল- ২০১৬
  10. বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা : প্রতিষ্ঠাকাল - ১৯৭৯
  11. বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা : প্রতিষ্ঠাকাল - ১৯৬৭

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে বুয়েটে প্রথমবারের মত গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। তারপর ২০০১ সালে এসএসসি ও দাখিল এবং ২০০৩ সালে এইচএসসি ও আলিমে চালু করা হয়। সাতস্তরের এই গ্রেডিং পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল :

সাতস্তরের গ্রেডিং পদ্ধতি
লেটার গ্রেড প্রাপ্ত নম্বরের শ্রেণী ব্যাপ্তি গ্রেড পয়েন্ট
এ প্লাস ৮০-১০০ ৫.০০
৭০-৭৯ ৪.০০
এ মাইনাস ৬০-৬৯ ৩.৫০
বি ৫০-৫৯ ৩.০০
সি ৪০-৪৯ ২,০০
ডি ৩৩-৩৯ ১.০০
এফ ০-৩২ ০.০০
  • ২০১০ সাল হতে বাংলাদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
  • ২৪ আগস্ট, ২০০৪ সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম লেখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারীর জন্য সংরক্ষিত।
  • মহিলা চাকুরিজীবীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস নির্ধারণ করেছে সরকার।
  • দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়েছে।

নায়েম : ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্ট পাকিস্তান এডুকেশন এক্সটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ এ দুটো সংস্থাকে একীভূত করে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নায়েম বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল এডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রশিক্ষণের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান নায়েম ।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (National Primary Education Academy-Nape) : এটি বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও গবেষণাধর্মী জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালে ময়মনসিংহের টিচার্স ট্রেনিং কলেজটিকে "মৌলিক শিক্ষা একাডেমি" নামে নামকরণ হয়। ১৯৮৫ সালে এর নামকরণ করা হয় ‘‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)"। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য গঠন করা হয় । এটি ময়মনসিংহে অবস্থিত ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ

বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৩৪১ টি কলেজ রয়েছে । তবে এই সংখ্যাটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল । কলেজ গুলোর উচ্চমাধ্যমিক শাখা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় । এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত সরকারি সাতটি কলেজ রয়েছে । বাকি সরকারি-বেসরকারি সবগুলো কলেজই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত । ২০২১ সালের ৮ আগস্ট সরকার দেশের ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করেছে। এর ফলে বর্তমানে দেশে মোট সরকারী কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৯৮টি। ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে নভেম্বর ঢাকা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কলেজ । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা কলেজের অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি। তৎকালীন কার্জন হল, শহীদুল্লাহ হল (ঢাকা হল), জমি এবং নিজস্ব শিক্ষক-ছাত্র ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

ক্যাডেট কলেজ : বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বমোট ক্যাডেট কলেজ ১২টি। এর মধ্যে মহিলা ক্যাডেট কলেজ ৩টি। ময়মনসিংহ, জয়পুরহাট এবং ফেনী জেলায় একটি করে গার্লস ক্যাডেট কলেজ আছে। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ক্যাডেট কলেজ স্থাপিত হয় চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাটে ১৯৫৮ সালে। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ক্যাডেট কলেজ ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ।

বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজসমূহ
ক্যাডেট কলেজের নাম অবস্থান প্রতিষ্ঠা
১. ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম ২৮ এপ্রিল, ১৯৫৮
২. ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ঝিনাইদহ ১ জানুয়ারি, ১৯৬৩
৩. মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ টাঙ্গাইল ৯ জানুয়ারি, ১৯৬৫
৪. রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ রাজশাহী ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬
৫. সিলেট ক্যাডেট কলেজ সিলেট ১৫ জুন, ১৯৭৮
৬. রংপুর ক্যাডেট কলেজ রংপুর ১ জানুয়ারি, ১৯৭৯
৭. বরিশাল ক্যাডেট কলেজ বরিশাল ১ জানুয়ারি, ১৯৮১
৮. পাবনা ক্যাডেট কলেজ পাবনা ৭ আগস্ট, ১৯৮১
৯. ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ ময়মনসিংহ ১৯৮৩
১০. কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ কুমিল্লা ১ জুলাই, ১৯৮৩
১১. ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ ফেনী ৭ জুন, ২০০৬
১২. জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ জয়পুরহাট ১৬ জুলাই, ২০০৬

মেডিকেল কলেজ : বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে । এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ টি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ টি, রাজশাহী বিভাগে ৫ টি, খুলনা বিভাগে ৫ টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ টি, সিলেট বিভাগে ৩ টি, রংপুর বিভাগে ৩ টি এবং বরিশাল বিভাগে ২ টি মেডিকেল কলেজ অবস্থিত। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার বকশিবাজারে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজই এদেশের প্রথম সরকারি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭৪টি। নিচে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর তালিকা দেয়া হল :

  1. ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
  2. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
  3. শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
  4. মুগদা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
  5. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ , ময়মনসিংহ
  6. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ , চট্টগ্রাম
  7. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ , রাজশাহী
  8. সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ , সিলেট
  9. শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ , বরিশাল
  10. রংপুর মেডিকেল কলেজ , রংপুর
  11. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ , কুমিল্লা
  12. খুলনা মেডিকেল কলেজ , খুলনা
  13. শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ , বগুড়া
  14. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ , ফরিদপুর
  15. এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ , দিনাজপুর
  16. পাবনা মেডিকেল কলেজ , পাবনা : বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি মানসিক হাসপাতাল যা পাবনার হেমায়েতপুরে অবস্থিত।
  17. আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী
  18. কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ , কক্সবাজার
  19. যশোর মেডিকেল কলেজ , যশোর
  20. সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ , সাতক্ষীরা
  21. শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ , কিশোরগঞ্জ
  22. কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ , কুষ্টিয়া
  23. শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ , গোপালগঞ্জ
  24. শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ , গাজীপুর
  25. শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল
  26. শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর
  27. কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ , মানিকগঞ্জ
  28. শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ
  29. পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ , পটুয়াখালী
  30. রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ , রাঙ্গামাটি
  31. শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ
  32. নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজ , নেত্রকোণা
  33. নীলফামারী মেডিকেল কলেজ , নীলফামারী
  34. নওগাঁ মেডিকেল কলেজ , নওগাঁ
  35. মাগুরা মেডিকেল কলেজ , মাগুরা
  36. চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ , চাঁদপুর
  37. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, সুনামগঞ্জ

আর্মি মেডিকেল কলেজ : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরাসরি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১ টি সরকারি ও ৫ টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা করে। সরকারি মেডিকেল কলেজটি ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত। অন্য ৫ টি বেসরকারি চট্টগ্রাম, যশোর, রংপুর, কুমিল্লা ও বগুড়া সেনানিবাসে অবস্থিত।

  1. আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, ঢাকা সেনানিবাস
  2. বগুড়া আর্মি মেডিকেল কলেজ, বগুড়া সেনানিবাস
  3. কুমিল্লা আর্মি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস
  4. রংপুর আর্মি মেডিকেল কলেজ, রংপুর সেনানিবাস
  5. চট্টগ্রাম আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম সেনানিবাস
  6. যশোর আর্মি মেডিকেল কলেজ, যশোর সেনানিবাস

অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজ :

  1. ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ মিরপুর, ঢাকা : ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
  2. হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, মিরপুর, ঢাকা : ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

সরকারি ডেন্টাল কলেজ : সরকারের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারি ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ১টি “ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ”। বাংলাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট সংখ্যা ৮টি।

সরকারি ডেন্টাল কলেজ / ডেন্টাল ইউনিট
কলেজের নাম প্রতিষ্ঠা
১. ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (সরকারি) ১৯৬১
২. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ১৯৮৯
৩. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ১৯৮৯
৪. শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ২০১১
৫. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ২০১১
৬. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ২০১১
৭. শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ২০১১
৮. এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ২০১১
৯. রংপুর মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট ২০১১

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ মূলত তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত: পাবলিক (সরকারি মালিকানাধীন), বেসরকারি (বেসরকারি মালিকানাধীন) এবং আন্তর্জাতিক (আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত) বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়, এরপরে ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে শুধুমাত্র ৪ টি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অধিভুক্ত; যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি আদেশ অনুযায়ী গঠিত একটি কমিশন।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ ১৯২১
২. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ ১৯৫৩
৩. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৬ ১৯৬৬
৪. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ ১৯৭০
অন্যান্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত
১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৯ ১৯৮০
২. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯০ ১৯৯১
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৮ ২০০৫
৪. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৫ ২০০৫
৫. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ ২০০৬
৬. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ২০০৮ ২০০৮
৭. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ২০০৮ ২০০৮
৮. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১ ২০১১
৯. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭ ২০১৭
১০. শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ ২০১৮
১১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১২. মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১৩. ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২ ২০২২
১৪. বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ ২০২২ ২০২২
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত
১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬১ ১৯৬১
২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৩ ১৯৯৮
৩. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৮ ২০০১
৪. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৫ ২০০৬
৫. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৫ ২০০৬
৬. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ ২০১৯
৭. হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ ২০১৯
৮. কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
৯. ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১০. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর ২০২১ ২০২১
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত
১. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬২ ১৯৬২
২. রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৪ ২০০৩
৩. চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৮ ২০০৩
৪. খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৯ ২০০৩
৫. ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮০ ২০০৩
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত
১. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৬ ১৯৯১
২. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৯ ১৯৯৯
৩. মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৯ ১৯৯৯
৪. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭২ ২০০০
৫. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ ২০০৬
৬. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ ২০০৮
৭. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ ২০০৮
৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১ ২০১১
৯. রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১ ২০১১
১০. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ ২০১৮
১১. বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ ২০১৮
১২. চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ ২০১৯
১৩. সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১৪. বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১৫. লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১৬. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০ ২০২০
১৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর ২০২০ ২০২০
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল
১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৮
২. রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭
৩. চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭
৪. সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮
৫. শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০
বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল
১. বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০
২. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ২০১৩
৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯

কেন্দ্রীয়ভাবে সংযুক্ত বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় : নিম্নোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ নিজস্ব ক্যাম্পাসের পরিবর্তে সারা দেশব্যাপী তাদের অনুমোদিত কলেজসমূহের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত করে থাকে। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কার্যালয় ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত। ১৯৯২ সালে, বাংলাদেশে সর্বস্তরের শিক্ষাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সকল স্তরের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারাদেশে স্নাতক স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হল ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রথম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। মূলত মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে সংযুক্ত বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল অবস্থান
১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ গাজীপুর
২. বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ গাজীপুর
৩. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩ ঢাকা

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় : বাংলাদেশে চালুকৃত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২টি। এগুলো হল ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজি, গাজীপুর ও এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি ফর ইউমেন, চট্টগ্রাম। এর মধ্যে ইসলামিক ইউনির্ভাসিটি অব টেকনোলজির পরিচালনায় ওআইসি এবং এর চ্যান্সেলর ওআইসির মহাসচিব।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান
১. ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (IUT) গাজীপুর
২. এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম
বিবিধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিষ্ঠান সংখ্যা Key Points
বর্তমানে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৫৯ টি বাংলাদেশে প্রথম মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয় ১৯৮৫ সালে।
দেশে বর্তমানে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ [দেশের প্রথম সরকারি প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় ঢাকায় ১৯০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়।] ১৫ টি যথা: ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ফেনী, যশোর, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ (মহিলা), পাবনা।
যে সব জেলায় প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নেই ১৩ টি যথা: ঢাকা, ঝালকাঠি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, নড়াইল, মেহেরপুর, পঞ্চগড় এবং লালমনিরহাট।
উচ্চ মাধ্যমিক টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ৫ টি বরিশাল, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী।
  • বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়। ২ মার্চ ২০১৪ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম প্রতিষ্ঠানটির ১৮তম উপাচার্য হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
  • প্রথম জাতীয় অধ্যাপক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
  • প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক অধ্যাপিকা সুফিয়া আহমেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠার পটভূমিঃ ১৯১১ সালে বৃটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দিলে পূর্ববাংলার মুসলমানদের মধ্য চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। এই সময় ১৯১২ সালের প্রথম দিকে বৃটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় আগমন করলে নবাব সলিমূল্লাহ এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। লর্ড হার্ডিঞ্জ একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন। এখানে উল্লেখ্য যে, নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন।

নাথান কমিটিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত কমিটির নাম 'নাথান কমিটি'। এই কমিটি গঠিত হয় ২৭ মে, ১৯১২ সালে। এ কমিটিতে মোট ১৩ জন সদস্য ছিলেন এবং কমিটির সভাপতি ছিলেন ব্যারিস্টার রবার্ট নাথান। এই কমিটি ১৯১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা সম্বলিত একটি সুপারিশ তৎকালীন সরকারের কাছে জমা দেয়। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে নাথান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ মূলতবী হয়ে যায়।

স্যাডলার কমিশনঃ নাথান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯১৭ সালে ড. মাইকেল ই স্যাডলার এর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, এই কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হয়।

  • ১ জুলাই, ১৯২১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন অনুষদ ৩টি (কলা, বিজ্ঞান ও আইন)।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল-নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান লোগো ডিজাইন করেছেন - সমরজিৎ রায় চৌধুরী।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য বা চ্যান্সেলর (Chancellor) লর্ড ডানভাস।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আচার্য হলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী শিক্ষার্থী-লীলা নাগ
  • বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৯টি ইনস্টিটিউট এবং ১৮টি গবেষণা কেন্দ্র আছে। বাংলাদেশের একমাত্র খাদ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত।
  • ২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পালিত হয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর প্রথম বক্তৃতা করেন- ১৯২৬ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় - ১৯২৩ সালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor সংক্ষেপে V. C)
উপাচার্য নাম
প্রথম উপাচার্য ফিলিপ জোসেফ (পিজে) হার্টস
প্রথম মুসলিম উপাচার্য স্যার এফ রহমান
উপমহাদেশের প্রথম উপাচার্য স্যার এফ রহমান
প্রথম বাঙালি উপাচার্য স্যার এফ রহমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র হিসাবে উপাচার্য ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
'৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময় উপাচার্য ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
বর্তমান উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ২৯তম উপাচার্য হিসেবে ৪ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের তালিকা :

  1. স্যার পিজে হাটস
  2. প্রফেসর জিএইচ ল্যাংলি
  3. স্যার এ. এফ. রহমান
  4. ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার
  5. ড. মাহমুদ হাসান
  6. ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
  7. ড. ডব্রিড এ জেনকিন্স
  8. বিচারপতি মুহম্মদ ইব্রাহীম
  9. বিচারপতি হামিদুর রহমান
  10. ড. মাহমুদ হোসাইন
  11. ড. মোঃ ওসমান গণি
  12. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
  13. ড. মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী
  14. ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী
  15. প্রফেসর মুহম্মদ শামসুল হক
  16. ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী
  17. ড. এ কে এম সিদ্দিক
  18. ড. মোহাম্মদ শামসুল হক
  19. প্রফেসর আব্দুল মান্নান
  20. প্রফেসর এম মুনিরুজ্জামান মিঞা
  21. প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদ
  22. প্রফেসর শহীদ উদ্দিন আহমদ
  23. প্রফেসর এ.কে আজাদ চৌধুরী
  24. প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী
  25. এ.এফ.এম ইউসুফ হায়দার
  26. প্রফেসর এস, এম, এ ফয়েজ
  27. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
  28. অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান
  29. অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ( বর্তমান )

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবসিক হল :

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন হল ৩টি। যথা- সলিমুল্লাহ, জগন্নাথ ও শহীদুল্লাহ হল।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আবাসিক হল ১৯ টি এবং ছাত্রাবাস ৪টি । এর মধ্যে ছাত্রীদের হল ৫টি । ছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত প্রথম আবাসিক হল- রোকেয়া হল।
  • ছেলেদের হল :
    জগন্নাথ হল
    সলিমুল্লাহ মুসলিম হল
    শহীদুল্লাহ হল
    ফজলুল হক মুসলিম হল
    জহুরুল হক হল
    সূর্যসেন হল
    স্যার এ.এফ রহমান হল
    হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল
    কবি জসীমউদ্‌দীন হল
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল
    মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল
    অমর একুশে হল
    বিজয় একাত্তর
    স্যার পি জে হার্টজ ইন্টারন্যাশনাল হল
  • মেয়েদের হল :
    রোকেয়া হল
    বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল
    বেগম সুফিয়া কামাল হল
    শামসুন্নাহার হল
    বেগম ফজিলাতুন্নেছা হল
  • ছাত্রাবাস :
    আই.বি.এ. হোস্টেল
    ডঃ কুদরত-ই-খুদা ছাত্রাবাস
    নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রী নিবাস
    শহীদ অ্যাথলেট সুলতানা কামাল হোস্টেল

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : ১৯১৯ সালে স্যাডলার কমিশনের রিপোর্টে উত্তরবঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য রাজশাহী শহরকে যথার্থ শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পূর্ববাংলার প্রাদেশিক পরিষদে ৩১ মার্চ, ১৯৫৩ সালে 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ' পাশ হয় এবং একই বছরের ১৬ জুন তারিখে ঢাকা গেজেটে প্রকাশিত হয়। ৬ জুলাই '১৯৫৩ প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন ড, ইতরাত হোসেন জুবেরী (আই এইচ জুবেরী। ১৯৫০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়। ৭৪০ একর ভূমির উপর অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোমানী টমাস এর মনোরম স্থাপত্য পরিকল্পনায় এটি তৈরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক ডিজাইনার হলেন শিল্পী গোলাম সারওয়ার ( মূল নকশা), শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, শিল্পী হাশেম খান ( চূড়ান্ত রূপদান)।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। ২৯ আগস্ট, ১৯৬৫ চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । এর উদ্বোধন হয় ১৮ নভেম্বর, ১৯৬৬ । এটি চট্টগ্রাম শহর হতে ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেহপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী ভূমির উপর অবস্থিত। এর আয়তন ২,১০০ একর (৮৫০ হেক্টর) । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ড. এ আর মল্লিক । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটিতে সমুদ্র বিজ্ঞান ও ফরেস্টি ইনস্টিটিউট রয়েছে , যা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ও প্রথম মহিলা উপাচার্য।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৪ জানুয়ারি, '৭১ ক্লাস শুরু হয় এবং ১২ জানুয়ারি '৭১ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর রিয়ার এডমিরাল এম. এম. আহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১৯৭৩ সালে এটির নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা শহরের মুঘল আমলের নাম "জাহাঙ্গীরনগর" থেকে এই নামকরণ করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন ডিসি ড. মফিউজদ্দিন আহমেদ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সংখ্যা নয়টি । মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য 'সংশপ্তক' এবং 'অমর একুশ' ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : খুলনার গল্লামারীতে ১০০ একর জমির উপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই জাতীয় সংসদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় এবং ১৯৯১ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : ১৯৯৫ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ কলেজকে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' ঘোষণা করে ফলক উন্মোচন করেন। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জগন্নাথ কলেজকে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম সিরাজুল ইসলাম খানকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দান করা হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ডিনস কমিটির সভায় অধ্যায়নরত সকল ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত এবং সার্টিফিকেট প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

নবীনতর পূর্বতন