বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সড়ক, রেল, নৌ এবং বিমান - এই চারটি মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। দেশের মোট সড়কপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩,০০০ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। দেশের মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ, ঢাকা-সিলেট রেলপথ, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের প্রায় ৭০০ টি নদীতে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা চালু আছে। লঞ্চ, ট্রলার, স্টিমার, নৌকা ইত্যাদি নৌ-যানবাহন ব্যবহৃত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, সৈয়দপুর, Cox's Bazar -এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। মেট্রোরেল, দ্রুতগামী ট্রেন, বঙ্গবন্ধু সেতু দ্বিতীয় স্থাপন, পদ্মা সেতু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মেট্রোরেল লাইন সম্প্রসারণ, দ্রুতগামী ট্রেন লাইন স্থাপন, নতুন সেতু নির্মাণ ইত্যাদি পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশের সড়কপথ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (Ministry of road transport and bridges) (পূর্বনাম: যোগাযোগ মন্ত্রণালয়) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা সড়ক পরিবহন খাতের সমস্যা দূরিকরণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কাজ করা। এর বিভাগ ২ টি - ১. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (Road Transport And Highways Division) ও ২. সেতু বিভাগ ( Bridges Division) .

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুসারে দেশের মোট সড়কপথের দৈর্ঘ্য ২২,৪১৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে আটটি যা মোট ৩,৯৪৪ কিলোমিটার। দেশে চার লেন জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে ৪১৭ কিলোমিটার । আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪,৮৮৩ কিলোমিটার । ফিডার/ জেলারোড রয়েছে ১৩,৫৯২ কিলোমিটার ।

  • বাংলাদেশে প্রথম ট্যাক্সিক্যাব চালু হয় : ৫ জুলাই, ১৯৯৮
  • ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস চালু হয় : ১৯ জুন, ১৯৯৯
  • শহরের রাস্তায় ট্রাফিক লাইট যে ক্রম অনুসারে জ্বলে তা হলো : লাল-হলুদ-সবুজ-হলুদ-লাল
  • বাংলাদেশের জেলা শহর কিন্তু রিক্সা নাই : রাঙ্গামাটি
  • সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (RHD) আর এইচডি গঠিত হয় : ১৯৬২ সালে
  • সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর অবস্থান : রমনা , ঢাকা
  • ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস চালু হয় :৬ জুন , ১৯৯৯
  • বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঢাকা কলকাতা নিয়মিত বাস চলাচল শুরু হয় :৯ জুলাই , ১৯৯৯

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে [Elevated Expressway] (প্রস্তাবিত) :

  • স্থান : উত্তরার হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত [ জয়দেবপুর-নারায়ণগঞ্জ]
  • দৈর্ঘ্য : ২৬ কি.মি
ঢাকার সাথে বিভিন্ন শহরের দূরত্ব
শহর সড়কপথে দূরত্ব রেলপথে দূরত্ব
চট্টগ্রাম ২৬৪ কি.মি. ৩৪৬ কি.মি.
সিলেট ৩৪৬ কি.মি. ৩১৯ কি.মি.
খুলনা ৩৩৫ কি.মি. ৬২৭ কি.মি.
রাজশাহী ২৭০ কি.মি. ৪৪১ কি.মি.
বরিশাল ২৭৭ কি.মি. -
টেকনাফ ৪৭৫ কি.মি. -

দেশের প্রথম ৪ লেন এক্সপ্রেসওয়ে: ৩ মে ২০১৬ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী সভায় অনুমোদিত হয় দেশের প্রথম চার লেন এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। ১৩ আগস্ট ২০১৬ এ প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ঢাকার যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন ও বাবু বাজার থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংকসহ) মাদারীপুরের পাঁচ্চর হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। নির্মিতব্য এ এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৪২ মিনিট।

মেট্রোরেল বাংলাদেশ: রাজধানীতে যানজট নিরসনে গণপরিবহনে প্রথমবারের মতো যোগ হচ্ছে মেট্রোরেল, যার পুরোটাই হবে উড়ালপথে।

  • মেট্রোরেল এর অফিসিয়াল নাম : Mass Rapid Transit (MRT)Line-৬
  • স্টেশন : ১৬টি
  • যাত্রী ধারণ : ৬০ হাজার / প্রতি ঘন্টা
  • যাতায়াতের সময় : ৩৭ মিনিট | উত্তরা-মাতিঝল]
  • দৈর্ঘ্য : ২০.১ কি.মি.

মেট্রোরেল ও বিআরটি : উদ্বোধন ২৬ জুন ২০১৬ রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্প ও বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (BRT) প্রকল্পের বাস ডিপো নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
মেট্রোরেল: মেট্রোরেলের মোট ছয়টি রুট থাকবে। এর মধ্যে উত্তর থেকে শাপলা চত্বরের (রুট-৬) কাজ আগে শেষ হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে শাপলা চত্বর পর্যন্ত। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ হবে। প্রতি ঘণ্টায় মেট্রোরেল দুপাশে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। রুট-৬ এর কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমবে, নগরবাসীর যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশে প্রথম BRT :

  • বাংলাদেশে প্রথম BRT এর অফিসিয়াল নাম : Bus Rapid Transit (BRT) Line-3
  • বাংলাদেশে প্রথম BRT এর বিস্তৃত : গাজীপুর ও ঢাকা মহানগরীর মধ্যে যাতায়াত সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত করার লক্ষ্যে গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মিত হবে বাংলাদেশের প্রথম BRT.
  • দৈর্ঘ্য : ২০.৫ কিলোমিটার
  • স্টেশন : ২৫টি
  • টার্মিনাল : ২টি
  • ফ্লাইওভার : ৬টি
  • নির্মাণ ব্যয় : ২০৪০ কোটি টাকা

দেশের প্রথম ৮ লেন মহাসড়ক: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগ সিলেট এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় প্রবেশ-বহির্গমনের প্রধান করিডোর যাত্রাবাড়ী-কাচপুর। প্রায় ৭.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ করিডোর সম্প্রতি ৮ লেনে উন্নীত করা হয়। ১৩ আগস্ট ২০১৬ দেশের প্রথম ৮ লেনের মহাসড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশের রেলপথ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুসারে দেশের মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য ৩,০১৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ব্রডগেজ ৬৭৭ কিলোমিটার , মিটার গেজ ১,৮৪৬ কিলোমিটার এবং মিশ্র গেজ ৪৩৩ কিলোমিটার ।

ব্রিটিশ আমলে ১৮৬২ সালে ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেল যুগে প্রবেশ করে। বর্তমানে দেশের ২০টি জেলায় রেলপথ নেই। জেলাগুলো হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নড়াইল, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, মেহেরপুর, লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৪৪টি জেলায় রেলপথ আছে। বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলপথ ঢাকা-পঞ্চগড়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে বড় কারখানা নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত। এটি ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমির উপর। প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। এই জাদুঘরে ইংরেজ আমলে ব্যবহৃত প্রেসিডেন্ট সেলুন কোচসহ বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে। রেলওয়ে মন্ত্রণায়ের ইংরেজি নাম- Ministry of Railways/ মিনিস্ট্রি অফ রেলওয়েজ । পাকিস্তান ইস্টার্ন রেলওয়ের নাম পরিবর্তন বাংলাদেশ রেলওয়ে করা হয় ১৯৭২ সালে ।

  • বিশ্বে প্রথম রেলপথ বসানো হয় : ১৮২৫ সালে, ইংল্যান্ডে
  • উপমহাদেশে প্রথম রেলযোগাযোগ চালু করেন : লর্ড ডালহৌসি, ১৮৫৩ সালে
  • ব্রিটিশ বাংলায় প্রথম রেললাইন বসানো হয় : ১৮৫৪ সালে, হাওড়া থেকে চুঁচুড়া পর্যন্ত
  • বাংলাদেশে প্রথম রেললাইন বসানো হয় : ১৮৬২ সালে, দর্শনা হইতে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত
  • বাংলাদেশের প্রথম মিটারগেজ রেলপথ : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ
  • বাংলাদেশে প্রথম আন্ত:নগর ট্রেন সার্ভিস চালু হয় : ১৯৮৬ সালে।
  • বাংলাদেশে প্রথম কন্টেইনার সার্ভিস চালু হয় : ১৯৮৭ সালে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্য
  • বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস : সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ১৪ এপ্রিল, ১৯৯৮ সালে চালু হয়।
  • বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয় : ২১ জানুয়ারি, ২০০১
  • ঢাকা ও কলকাতার মধ্য 'মৈত্রী এক্সপ্রেস' চালু হয় : ১৪ এপ্রিল, ২০০৮
  • বাংলাদেশে তিন ধরনের রেলপথ আছে। যথা : ব্রডগেজ, মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ
  • ব্রডগেজে দুই লাইনের মাঝের দূরত্ব : ১.৭৭ মিটার বা ৬৯.৫৭ ইঞ্চি
  • মিটারগেজে দুই লাইনের মাঝের দূরত্ব : ১ মিটার বা ৩৯.৩৭ ইঞ্চি
  • যমুনা নদী দ্বারা বাংলাদেশের ব্রডগেজ ও মিটারগেজ রেলপথ দুইভাগে বিভক্ত : পূর্বভাগে- সম্পূর্ণ মিটারগেজ , পশ্চিমভাবে- ব্রডগেজ ও মিটারগেজ
  • বাংলাদেশে বর্তমানে রেল স্টেশনের সংখ্যা : ৪৪১ টি
  • বাংলাদেশের বৃহত্তম রেল স্টেশন : ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
  • বাংলাদেশে রেলওয়ে জংশন আছে : ঢাকা, চট্টগ্রাম, লাকসাম, আখাউড়া, কুলাউড়া, ময়মনসিংহ, ভৈরববাজার, ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, সান্তাহার, বোনারপাড়া, কাউনিয়া, টঙ্গী ও জয়দেবপুর।
  • বাংলাদেশে রেলওয়ে কারখানা আছে (৬টি) : বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্ববৃহৎ কারখানা অবস্থিত নীলফামারীর সৈয়দপুর। এটি ১৮৭০ সালে ব্রিটিশদের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। দেড়শত বছর আগে প্রায় ১৩০ একর জায়গাজুড়ে এখানে কারখানাটি স্থাপন করা হয়। এছাড়া রয়েছে পাহাড়তলী দেওয়ানগঞ্জ, ছাতক এবং ঢাকায়।
  • 'রেলপথ বিভাগ'কে "রেলপথ মন্ত্রণালয়" নামকরণ করা হয় : ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর
  • ডেমু ট্রেন (DEMU = Diesel Electric Multiple Unit) : ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে দেশের প্রথম দ্রুতগতি সম্পন্ন ডেমু ট্রেন চালু করা হয়।
  • দীর্ঘতম রেলরুট : ঢাকা - পঞ্চগড় (৬৩৯ কিমি) ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে :

  • বাংলাদেশ রেলওয়ে সংস্থার নাম : বাংলাদেশ রেলওয়ে
  • বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত। যথা- : পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল
  • বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক সদর দপ্তর : রমনা, ঢাকা
  • বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর : চট্টগ্রাম
  • বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় সদর দপ্তর : সৈয়দপুর, নীলফামারী
⮚ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন সার্ভিস ও রুট
রুট ট্রেনের নাম
ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস
ঢাকা-চট্টগ্রাম সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি, মহানগর প্রভাতী, তুর্ণা নিশিথা, নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস
ঢাকা-খুলনা সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস
ঢাকা-রাজশাহী সিল্ক সিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস
ঢাকা-সিলেট পারাবত, উপবন, কালনী এক্সপ্রেস
ঢাকা-লালমনিরহাট লালমনি এক্সপ্রেস
ঢাকা-দিনাজপুর দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা
ঢাকা- নীলফামারি নীলসাগর
ঢাকা-বাহদুরাবাদ তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, উত্তরবঙ্গ মেইল
ঢাকা-তারাকান্দি অগ্নিবীণা, যমুনা
ঢাকা-নোয়াখালী উপকূল এক্সপ্রেস
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ এগারো সিন্দুর
ঢাকা- মোহনগঞ্জ হাওর এক্সপ্রেস
বাংলাদেশ বেনাপোল-ভারতের পেট্রোপোল সোনার বাংলা
ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস
ঢাকা-রংপুর রংপুর এক্সপ্রেস
ঢাকা- গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস

দীর্ঘতম রেলপথ: ১০-১১-২০১৮ পঞ্চগড়-ঢাকার মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। ৬৩৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রুটটি দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম রেল রুট। এ রুটে ২৩টি স্টেশন রয়েছে এবং এতে পরিচালিত দুটি ট্রেন সার্ভিস হলো 'দ্রুতযান এক্সপ্রেস' ও 'একতা এক্সপ্রেস'।

পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ: : ১৪ অক্টোবর ২০১৮ শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জ জেলায় মাওয়া প্রান্তে 'পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ নির্মাণ' প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতুর সংযোগ প্রকল্প ২ টি:
প্রকল্প ১: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা (৮২.৩১ কিলোমিটার)
প্রকল্প ২: ভাঙ্গা - নড়াইল-যশোর (৮৪.০১ কিলোমিটার)

ঢাকার তিনটি মেট্রোরেল প্রকল্প: (মাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) : ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে মেট্রোরেলের শরণাপন্ন হয়েছে বাংলাদেশ। ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয় দেশের প্রথম মেট্রোরেল। ১৫ অক্টোবর ২০১৯ একনেক সভায় আরো দুটি মেট্রোরেল প্রকল্প অনুমোদিতহয়। মেট্রোরেল প্রকল্প তিনটি-

  1. MRT Line-6 : রুট: উত্তরা-মতিঝিল (পুরোটাই উড়াল পথে)। দৈর্ঘ্য: ১৯.৮৩ কিলোমিটার। নির্মাণ শেষ (সম্ভাব্য): ২০২৪।
  2. MRT Line-5 : হেমায়েতপুর-আমিনবাজার-গাবতলী-মিরপুর-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-ভাটারা । দৈর্ঘ্য: ২০ কিলোমিটার। নির্মাণ শেষ (সম্ভাব্য): ২০২৮।
  3. MRT Line-1 : বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-নতুনবাজার-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর। একনেকে দৈর্ঘ্য: ৩১ কিলোমিটার। নির্মাণ শেষ (সম্ভাব্য): ২০২৬।

বাংলাদেশের আকাশ পথ

বাংলাদেশের আকাশ পথ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বর্তমানে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং আটটি অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর ব্যবহার করে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট রুট তৈরি করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিমান সংস্থার জন্য আকর্ষণীয়।

  • বাংলাদেশে প্রথম আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হয় : ৪ ফ্রেব্রুয়ারি, ১৯৭২ (ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে)
  • বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয় : ৪ মার্চ, ১৯৭২ (ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা)
  • অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারী খাতে বাংলাদেশে প্রথম বিমান সার্ভিস চালু হয় : ১৭ জুলাই, ১৯৯৫ সালে । ঢাকা-বরিশাল রুটে
  • বাংলাদেশের আকাশ পথে সর্বশেষ রুট : থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই
  • STOL Port এর পূর্ণরূপ হল- : Short Take Off and Landing Port

বাংলাদেশের বিমান সংস্থা :

  • বাংলাদেশের বিমান সংস্থার নাম : বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস লিমিটেড
  • বাংলাদেশের বিমান সংস্থার পূর্ব নাম : বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনসের প্রতিষ্ঠাকাল : ৪ জানুয়ারি, ১৯৭২
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এর কোম্পানিকরণ করা হয় : ১২ জুলাই, ২০০৭
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস স্টল (Short Trick Off And Lending Stol) পোর্ট : বগুড়া, কুমিল্লা, লালমনিরহাট, শমসেরনগর, তেজগাও, ঠাকুরগাঁও।
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক গন্তব্য : ১৭টি।
  • যে জায়গায় বিমান রাখা হয় তাকে বলা হয় : Hangar.
  • বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • বাংলাদেশ বিমানের শ্লোগান : আকাশে শান্তির নীড় (Your home in the Sky)
  • বাংলাদেশ বিমানের প্রতীক : বলাকা
  • বাংলাদেশ বিমানের প্রতীকের ডিজাইনার : কামরুল হাসান
  • বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী বিমান সংস্থা : অ্যারো বেঙ্গল এয়ার লাইনস । এটি ১৯৯৫ সালের ১৬ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যাত্রা শুরু হয় ১৭ জুলাই থেকে।
  • বেসরকারী খাতে বাংলাদেশের বিমান সংস্থা ১২টি : ↓
    ১) এঞ্জেল এয়ারওয়েজ
    ২) বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্স
    ৩) ইজি ফ্লাই এক্সপ্রেস
    ৪) হ্যালো এয়ার
    ৫) নভো এয়ার ৬) রিজেন্ট এয়ারওয়েজ
    ৭) স্কাই এয়ার
    ৮) সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স
    ৯) টিএসসি এয়ারলাইন্স
    ১০) টু এভিয়েশন বিডি
    ১১) ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ
    ১২) ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি:

  1. হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর , ঢাকা
  2. শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর , চট্টগ্রাম
  3. ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর , সিলেট

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সমূহ আটটি:

  1. শাহ মখদুম বিমানবন্দর , রাজশাহী
  2. যশোর বিমানবন্দর
  3. সৈয়দপুর বিমানবন্দর , নীলফামারী
  4. কক্সবাজার বিমানবন্দর , কক্সবাজার
  5. বরিশাল বিমানবন্দর , বরিশাল
  6. ঈশ্বরদী বিমানবন্দর , পাবনা
  7. তেজগাঁও বিমানবন্দর , ঢাকা
  8. খানজাহান আলী বিমানবন্দর , বাগেরহাট (নির্মাণাধীন)

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা বাংলাদেশের বেসরকারি মালিকানাধীন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে নারী-শিশুসহ ৫১ জন নিহত হয় ২০১৮ সালের ১২ মার্চ। এ বিমানের কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ ১০ জন নেপালি যাত্রীকে বাঁচিয়েছেন বলে নেপালি গণমাধ্যম তাকে 'ডটার অব বাংলাদেশ' নামে আখ্যায়িত করেছেন।

  • বাংলাদেশের বেসরকারি হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু হয় : ৫ ডিসেম্বর, ১৯৯৯
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোম্পানিকরণ : ১২ জুলাই , ২০০৭
  • বিমানের সম্মুখভাগে বিমান চালকদের বসার স্থান : ককপিট
  • বিমানের প্রথম মহিলা পাইলট : কানিজ ফাতেমা রোকসানা
  • বিমানযোগে দ্রব্যাদি পরিবহন : এয়ারলিফট
  • Department of Civil Aviation : DCA
  • Civil Aviation authority Bangladesh : CAAB
  • হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের স্থপতি : লারোস
  • ভারত বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এর সদর দপ্তর : কুর্মিটোলা ঢাকা
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং
নাম বিমান বহরে যুক্ত
পালকি ২৩ অক্টোবর , ২০১১
অরুণ আলো ২৪ অক্টোবর , ২০১১
আকাশ প্রদীপ ৭ ফেব্রুয়ারি , ২০১৪
রাঙা প্রভাত ২৩ মার্চ , ২০১৪
মেঘদূত ১২ ই জানুয়ারি , ২০১৬
ময়ূরপঙ্খী ১২ জানুয়ারি , ২০১৬

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার: এটি হলো 'বোয়িং কমার্শিয়াল এরোপ্লেন কোম্পানির তৈরি করা দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট মাঝারি আকারের সুপরিসর বিমান। বিমানটি ২৪২ থেকে ৩৩৫ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত করা হয় :

  • ১ম বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার 'আকাশ বীণা ' (উদ্বোধন: ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮)
  • ২য় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার 'হংসবলাকা' (উদ্বোধন: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮)
  • ৩য় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার' গাঙচিল'
  • ৪র্থ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার' রাজহংস' (উদ্বোধন: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯)
  • ৫ম ও ৬ষ্ঠ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার 'সোনার তরী' ও 'অচিন পাখি'। (উদ্বোধন: ডিসেম্বর ২০১৯)

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত ড্যাশ ৮. ৪০০ মডেলের 'ধ্রুবতারা (২৭ ডিসেম্বর, ২০২০), নতুন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ড্যাশ ৮-৪০০ 'আকাশতরী' ও 'শ্বেতবলাকা' (উদ্বোধন: ১৪ মার্চ, ২০২১)।

বাংলাদেশের নদীপথ

বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়। প্রায় 700 টি নদী ও খালের এক বিশাল জাল বিস্তৃত রয়েছে এই দেশের বুকে। নদী আমাদের জীবন ও জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদীপথের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। BIWTC এর সদর দপ্তর ঢাকা ।

  • বাংলাদেশে নদীপথের দৈর্ঘ্য : ৮৪০০ কি.মি. [ সূত্র: সপ্তম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান ]
  • বাংলাদেশে সারাবছর নাব্য নদীপথের দৈর্ঘ্য : ৫২০০ কিমি
  • নদীপথে সরাসরি ঢাকার সাথে যুক্ত নয় এমন জেলা :

• 'এম ভি বাঙালি' দেশে তৈরি প্রথম যাত্রীবাহী ষ্টিমার বা জাহাজ। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলা এ জাহাজটি তৈরি করেছে ওয়েস্টার্নামেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড।

• ২৯ মার্চ ২০১৭ চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে দেশে নির্মিত সর্ববৃহৎ জাহাজের লঞ্চিং সম্পন্ন হয়। "জেএসডব্লিউ প্রতাপগড়” নামের এ মিনি বাল্ক কেরিয়ারের দৈর্ঘ্য ১২২.২৫ মিটার ও ধারণ ক্ষমতা ৮,০০০ মেট্রিক টন। জাহাজটি ভারত মহাসাগরে চলাচল করবে।

বাংলাদেশের প্রধান সেতুসমূহ

পদ্মা সেতু :
পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত পদ্মা সেতু একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। সেতুটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, লৌহজংকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত উত্তর-পুর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুর কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড।

  • মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মি । এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২.১১৭ কিলোমিটার।
  • ভায়াডাক্ট ৩.১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)।
  • মোট খরচ : ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
  • জমি অধিগ্রহণ : ১ হাজার ৪৭১ হেক্টর।
  • নদী শাসন : মাওয়া প্রান্তে ১.৬ কিলোমিটার ও জাজিরা প্রান্তে ১২.৪ কিলোমিটার
  • পদ্মা সেতুর দুই প্রান্ত কোন দুটি জেলায় অবস্থিত : মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর
  • পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা : পদ্মা সেতু ১২৮ মিটার (৪২০ ফুট) গভীরতাযুক্ত বিশ্বের গভীরতম পাইলের সেতু ।
  • উদ্বোধন : পদ্মা সেতু ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় ।
  • সহনশীলতা : পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় করে।
  • স্প্যান, পিলার ও ডেক : পদ্মা সেতুর মোট স্প্যান ৪১টি, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। পদ্মা সেতুর মোট পিলার রয়েছে ৪২টি। এর ডেকের উচ্চতা ১৩ দশমিক ৬ মিটার।
  • উচ্চতা : পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট।
  • পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে কতটি জেলাকে সংযুক্ত করেছে : পদ্মা সেতু ঢাকার সাথে ১৯টি জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
  • পদ্মা সেতু এশিয়ার কততম সেতু : পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ায় ৬ষ্ঠ।
  • আয়ুষ্কাল : পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর ।
  • পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা : ২৬৪ টি।
  • লেন : পদ্মা সেতু ৪ লেন বিশিষ্ট
  • পদ্মা সেতু কত তলা বিশিষ্ট : দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতুর উপর তলায় যানবাহন নিচ তলায় রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে ।
  • বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু কোনটি : বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতুর নাম পদ্মা সেতু’।

পায়রা সেতু :

  • পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুটি দেশের পঞ্চম বৃহত্তম।
  • পায়রা সেতুর (লেবুখালী সেতু) মোট দৈর্ঘ্য: ১,৪৭০ মিটার (৪,৮২০ ফুট)।
  • এই সেতুর উদ্বোধন: ২৪ অক্টোবর, ২০২১।

বঙ্গবন্ধু সেতু :

  • যমুনা নদীর উপর নির্মিত 'বঙ্গবন্ধু সেতু' বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম সড়ক ও রেলসেতু। এটি বর্তমানে বিশ্বের ৯২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার পঞ্চম দীর্ঘতম সড়ক সেতু।
  • 'বঙ্গবন্ধু সেতু' ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের ১৬ টি জেলার (সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগা, বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাও এবং পঞ্চগড়) যোগাযোগের এক অনন্য মাইলফলক।
  • বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরাঞ্চলের সাথে ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। ট্রেনটির নাম সিল্ক সিটি।
  • ১৯৯৮ সালে যান চলাচল শুরু হয়।
  • বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য - ৪.৮০ কি.মি.
  • বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সংখ্যা - ৫০টি
  • বঙ্গবন্ধু সেতুর লেনের সংখ্যা - ৪টি
  • নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান : হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (দ. কোরিয়া)
  • অবস্থান : টাঙ্গাইল-সিরাজগঞ্জ
  • উদ্বোধন : ২৩ মার্চ, ১৯৯৮, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • বৈশিষ্ট্য : গ্যাসলাইন, টেলিযোগাযোগ লাইন, বিদ্যুৎলাইন এবং রেল লাইন আছে।
  • রেলপথ : বঙ্গবন্ধু সেতুতে মিটার গেজ, ব্রডগেজ (মিশ্রগেজ) রেলপথ আছে। বঙ্গবন্ধুর সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা-রাজশাহী রেল চলাচল শুরু হয় ১৪ আগস্ট, ২০০৩।

লালন শাহ সেতু :

  • বৈশিষ্ট্য : পদ্মা নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু।
  • দৈর্ঘ্য : ১.৮ কি.মি.
  • অবস্থান : কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামাড়া এবং পাবনা জেলার পাকশি পয়েন্টে
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুসমূহ
সেতুর নাম কোন নদীর উপর নির্মিত অবস্থান
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু -১ বুড়িগঙ্গা পেস্তাগোলা, ঢাকা
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-২ ব্রহ্মপুত্র ময়মনসিংহ
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৩ মহানন্দা চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৪ করতোয়া পঞ্চগড়
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৫ গাবখান ঝালকাঠি
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৬ ধলেশ্বরী মুন্সিগঞ্জ
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৭ আড়িয়াল খাঁ মাদারীপুর
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-৮ কচা নদী পিরোজপুর
বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতুসমূহ
সেতুর নাম কোন নদীর উপর নির্মিত অবস্থান
বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-১ মেঘনা মুন্সিগঞ্জ
বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রী সেতু-২ মেঘনা-গোমতি দাউদকান্দি, কুমিল্লা
বিবিধ
সেতুর নাম কোন নদীর উপর নির্মিত অবস্থান
খান জাহান আলী সেতু রূপসা খুলনা
আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু কীর্তন খোলা বরিশাল
কীন সেতু সুরমা সিলেট
হাজী শরীয়ত উল্লাহ সেতু আড়িয়াল খাঁ মাদারীপুর
দড়াটানা সেতু মধুমতি বাগেরহাট
ফকির মজনু শাহ সেতু শীতলক্ষ্যা কাপাসিয়া
কাঞ্চন সেতু শীতলক্ষ্যা রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
পানাম সেতু পঙ্খী খাল সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু মেঘনা আশুগঞ্জ, ভৈরব
শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু) বুড়িগঙ্গা বছিলা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বাংলাদেশের একমাত্র ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই হ্রদ রাঙামাটি
শাহ আমানত (তৃতীয় কর্ণফুলী) সেতু কর্ণফুলী চট্টগ্রাম

হার্ডিঞ্জ ব্রীজ :

  • দৈর্ঘ্য : ১.৮ কি.মি. বা ৫৮৯৪ ফুট
  • অবস্থান : পাবনা জেলায় পাকশীতে পদ্মা নদীর উপর
  • নামকরণ : ১৯১৫ সালে বৃটিশ ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ এর উদ্বোধন করেন। তাঁর নামানুসারে ব্রিজটির নামকরণ করা হয়।
  • নির্মাণকাল : ১৯১০-১৯১২ খ্রিস্টাব্দ।

ভৈরব ব্রীজ :

  • দৈর্ঘ্য : ৯১৬ মিটার বা ৩০০৫ ফুট
  • অবস্থান : ভৈরব বাজারের নিকট মেঘনা নদীর উপর

বাংলাদেশের ফ্লাইওভার

মহাখালী ফ্লাইওভার :

  • অবস্থান : মহাখালী, ঢাকা
  • দৈর্ঘ্য : ১.১২ কি.মি.
  • ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : ১৯ ডিসেম্বর, ২০০১: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
  • উদ্বোধন : ৪ নভেম্বর, ২০০৪: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
  • জ্ঞাতব্য : নির্মাণ সমাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের প্রথম ফ্লাইওভার।
  • মোট ব্যায় : ১১৫ কোটি টাকা

খিলগাঁও ফ্লাইওভার :

  • অবস্থান : খিলগাঁও রেলক্রসিং, ঢাকা
  • দৈর্ঘ্য : ১.৯ কি.মি.
  • ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন : ২ জুন, ২০০১: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
  • উদ্বোধন : ২৩ মার্চ, ২০০৫; তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া
  • নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান : ডেভেলপমেন্ট কনস্ট্রাকশন্স লিমিটেড (ডিসিএল)
  • জ্ঞাতব্য : ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন, প্রকল্প অনুমোদন এবং নির্মাণ শুরুর দিক থেকে বাংলাদেশের প্রথম ফ্লাইওভার। নির্মাণ সমাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লাইওভার।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার :

  • অবস্থান : পলাশী থেকে যাত্রাবাড়ী (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড) এবং কুতুবখালি পর্যন্ত
  • দৈর্ঘ্য : ১১.৮ কি.মি. (দেশের বৃহত্তম ফ্লাইওভার)
  • উদ্বোধন : ১১ অক্টোবর , ২০১৩

কুড়িল ফ্লাইওভার :

  • অবস্থান : কুড়িল, ঢাকা
  • দৈর্ঘ্য : ৩.১ কি.মি.। স্প্যান সংখ্যা: ৬৫টি
  • উদ্বোধন : ৪ আগস্ট, ২০১৩

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার :

  • অবস্থান : মগবাজার-মৌচাক
  • দৈর্ঘ্য : ৮.২৫ কি.মি.
  • উদ্বোধন : ২৬ অক্টোবর , ২০১৭

জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার :

  • অবস্থান : মিরপুর -বিমানবন্দর, ঢাকা
  • দৈর্ঘ্য : ১.৭৯৩ কিমি
  • উদ্বোধন : ২৭ মার্চ, ২০১৩

ফেনী ফ্লাইওভার (দেশের ১ম ৬ লেনের ফ্লাইওভার) :

  • অবস্থান : ফেনীর মহিপাল
  • দৈর্ঘ্য : ৬৬০ মিটার (মূল অংশ)
  • উদ্বোধন : ৪ জানুয়ারি ২০১৮
নবীনতর পূর্বতন