এক্সরে কি ? এক্সরে এর ব্যবহার

এক্সরে (X-Ray)

এক্স-রশ্মি (X-ray) : এক্সরে হল ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এটি আলোর চেয়ে অনেক ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের, মূলত ০.১ থেকে ১০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য পরিসরে এবং ৩ × ১০ ১৬ থেকে ৩ × ১০ ২০ হার্জের কম্পাংক পরিসরে অবস্থিত ও উচ্চ ভেদনক্ষমতাবিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ ।

এক্সরে

ডিজিটাল এক্স-রে (Digital X-ray) : ডিজিটাল এক্স-রে (Digital X-ray) হল একটি উন্মুক্ত অবস্থান প্রযুক্তি, যেখানে একটি এক্স-রে ছবি ধারাবাহিক সংগ্রহ করার জন্য ডিজিটাল সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এটি বিভিন্ন চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়, যেমন ডেন্টাল চিকিৎসা, মেডিকেল চিকিৎসা এবং হাড় চিকিৎসা ইত্যাদি।
ডিজিটাল এক্স-রে ব্যবহার করে প্রযুক্তিগতভাবে এক্স-রে চিত্র প্রদর্শন করা হয় যাতে চিকিৎসকরা স্পষ্ট চিত্র পেয়ে রোগীর অবস্থা নির্ধারণ করতে পারেন। এই প্রযুক্তির মূল সুবিধাগুলি হল:
1. প্রদর্শনের মৌলিক গুনগুলির বেশিরভাগ সংরক্ষণ করা যায়, এতে ছবির গুণমান উন্নত হয়।
2. ছবি ব্যবহারকারীর কম পরিমাণ এক্স-রে অনুমোদন করে এবং এটি ফিল্ম দরকার হয় না, যা খরচ ও পরিস্কারতা উন্নত করে।
3. ছবিগুলি সহজেই স্থানান্তর করা যায়, যা চিকিৎসকদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান সুবিধা প্রদান করে।
ডিজিটাল এক্স-রে এক্স-রে চিত্র প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি ও প্রদর্শনের মধ্যে অনেক উন্নতি সৃষ্টি করে যা চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলির দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
এক্সরের অন্য নাম: অজানা রশ্মি , রঞ্জন রশ্মি ।
এক্সরে আবিষ্কারক: বিজ্ঞানী রন্টজেন ১৮৯৫ সালে এক্সরে আবিস্কার করেন।

এক্সরের ব্যবহার

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহারঃ
হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় (fracture) নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
শরীরের ভিতরের কোন বস্তুর বা ফুসফুসের কোন ক্ষতের অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
পরিপাক (Digestive) নালী দিয়ে খাদ্যবস্তুর গমন অনুসরণ, আলসার ও দাঁতের গোড়ায় আলসার নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
দাঁতের গহবর এবং অন্যান্য ক্ষয় বের করার জন্য এক্স-রে ব্যবহার করা হয়।
পেটের এক্স-রে করে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা (Intestinal Obstruction ) সনাক্ত করা যায় ।
এক্স-রে দিয়ে পিত্তথলি ও কিডনিতে পাথরের অস্তিত্ব বের করা যায় ।

গোয়েন্দা বিভাগে ব্যবহারঃ
কাঠের বাক্স/ চামড়ার থলিতে বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখলে তা খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা চোরাচালানের দ্রব্যাদি খুঁজে বের করতে ব্যবহার করেন ।

শিল্পে ব্যবহারঃ
ধাতব ঢালাইয়ের দোষ ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং, ধাতব পাতের গর্ত ইত্যাদি নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
কেলাস গঠন পরীক্ষায় এক্সরে ব্যবহৃত হয়।
মনিকারেরা এর সাহায্যে আসল ও নকল গহনা শনাক্ত করতে পারেন।
টফি লজেন্স, সিগারেট ইত্যাদির মান বজায় আছে কিনা তা জানার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আসল হীরা চেনার উপায়: এর ভিতর দিয়ে রঞ্জন রশ্মি যেতে পারে না ।
ক্যাথোড রশ্মি: এক রাশি ইলেকট্রন

এক্সরে ও সাধারণ আলোর মধ্যে পার্থক্য

এক্সরে সাধারণ আলো
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য: 10 -8 m থেকে 10 -13 m তরঙ্গ দৈর্ঘ্য: 7 × 10 -7 m থেকে 4 × 10 -7 m
দৃশ্যমান নয় ৷ দৃশ্যমান
উচ্চ ভেদন ক্ষমতা সম্পন্ন । অস্বচ্ছ পদার্থ থাকলেই তা ভেদ করতে পারে না ।
গ্যাসকে আয়নিত করে। গ্যাসকে আয়নিত করে না ।
নবীনতর পূর্বতন