ইলেক্ট্রনিক্স

তড়িৎ প্রকৌশল বিদ্যার শাখাগুলোর মধ্যে ইলেক্ট্রনিক্স একটি প্রধানতম শাখা । বিজ্ঞানের যে শাখায় ভ্যাকুয়াম গ্যাস বা সেমিকণ্ডাক্টরের (অর্ধপরিবাহী ) মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের নিঃসরণ, প্রবাহ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা হয়, তাকে ইলেকট্রনিক্স বলে ৷ ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বিশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ বায়ুশূন্য কাচের নল (vacuum tube)আবিষ্কার করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। সেই সময় থেকেই ইলেকট্রন বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু যাকে ইংরেজিতে ইলেকট্রনিক্স (Electronics ) বলে।

'Diode' এর দুটি প্রান্তের নাম: Anode and Cathode.

Diode

একটি ডায়োড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়: রেক্টিফায়ার হিসাবে।

রেকটিফায়ার: যে ইলেক্ট্রনিক বর্তনী পরিবর্তিত বিদ্যুৎ প্রবাহকে (A.C) সরল একদিক প্রবাহী বিদ্যুৎ প্রবাহে (D.C) পরিণত করে তাকে রেকটিফায়ার বলে।

যে ডিভাইস আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক্সে বিপ্লব শুরু হয়: ট্রানজিস্টর।

ট্রানজিস্টর: দুটি অর্ধপরিবাহী ডায়োডকে পাশাপাশি যুক্ত করে একটি অর্ধপরিবাহী ট্রায়োড তৈরি করা হয় । একে ট্রানজিস্টর বলে ।

ট্রানজিস্টর আবিস্কৃত হয়: ১৯৪৭ সালে বেল ল্যাবরেটরিতে।

এমপ্লিফায়ার: এটি এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা কৌশল যার ইনপুট বর্তনীতে দূর্বল সংকেত প্রয়োগ করে বহিঃ বর্তনী হতে বহুগুণ বিবর্ধিত সংকেত পাওয়া যায়।

এমপ্লিফায়ার

যে ডিভাইস এমপ্লিফায়ার (বিবর্ধক) হিসাবে ব্যবহৃত হয়: ট্রানজিস্টর।

ট্রানজিস্টারে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টরের নাম: সিলিকন ট্রানজিস্টারে ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টরের নাম: সিলিকন

Semi conductor (সেমিকন্ডাক্টর): যেসব পদার্থের সর্বাপেক্ষা বাইরের অরবিটে ৪টি electron থাকে তাদেরকে Semi conductor বলে।
প্রকারভেদ:
ক) উপাদানের উপর ভিত্তি করে সেমিকন্ডাক্টর দুই প্রকার ।
1. Elemental Semiconductor. উদাহরণ: Si, Ge.
2. Compound Semiconductor. উদাহরণ: SiC (সিলিকন কার্বাইড), SiGe (সিলিকন জার্মেনিয়াম)
খ) বিশুদ্ধতার উপর ভিত্তি করে দুই প্রকার।
1. Intrinsic Semiconductor
2. Extrinsic Semiconductor
Extrinsic Semiconductor ২ প্রকার ।
ক) P-type semi conductor
খ) N-type semi conductor.

Doping: যে পদ্ধতিতে Intrinsic semi conductor এ impurity মিশানো হয় সেই পদ্ধতিকে Doping বলে ।

Biasing: Bias অর্থ বাহিরের চাপ দেওয়া । কোন Component কে কার্যকর করার নিমিত্তে ইহাতে বাহ্যিক শক্তি প্রয়োগ করার ব্যবস্থাকে ‘Biasing' বলে ।
প্রকারভেদ: ২ প্রকার। যথা: ১. Forward Bias 2. Reverse Bias

রিলে (Relay): রিলে এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে এক সার্কিট হতে অন্য সার্কিটে প্রয়োগকৃত কারেন্ট প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করা হয় ।

সোর্স কোড: টেলিগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে সাংকেতিক ভাষায় সংবাদ প্রেরণের জন্য যে সংকেত ব্যবহার করা হয় তাতে সোর্স কোড বলে । বিজ্ঞানী সামুয়েল মৌর্স এর উদ্ভাবক ।

ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক্স বর্তনী: ছোট এক টুকরা সিলিকনের টুকরার উপর তৈরি অতি ক্ষুদ্র বর্তনী ।

I.C: I.C হল যে কোন একটা ডিভাইস বা স্টেজের সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক বর্তনী। একটি I.C এক বা একাধিক স্টেজের সম্পূর্ণ কাজ করতে পারে ।
I.C এর পূর্ণরূপ: Integrated circuit ।
IC কে উদ্ভাবন করেন: ১৯৫৮ সালে জে এস কেলবি।
আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে যে ডিভাইস: ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট

চিপ : চিপ হল সিলিকনের তৈরি সলিডস্টেট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যার মধ্য একটি I.C এর বিভিন্ন ধরণের পার্টস যেমনঃ ডায়োড, ট্রানজিস্টর, রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর থাকে। পার্টসগুলোর মধ্য সংযোগ দেওয়া থাকে । চিপের কোন পার্টস পৃথক করা যায় না। কোন পার্টস অকেজো হলে সম্পূর্ণ চিপ বদল করতে হয় । আধুনিক কম্পিউটারের দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে IC বা Integrated Circuit. এটি মূলত Registor ও Capacitor এর সম্বন্বিত রূপ। এই IC ব্যবহারের ফলে কম্পিউটারের আকার ছোট হয়েছে এবং ধারণ ক্ষমতা অনেকগুলো বেড়ে গেছে। কিন্তু Microprocessors কম্পিউটারের Fourth Generation এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনটেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে Microprocessors তৈরি করে। যার নাম ছিলো Intel 4004.

সিলিকন চিপ

ডিজিটাল ঘড়ি বা ক্যালকুলেটারে কালচে অনুজ্জ্বল যে লেখা ফুটে উঠে তা কিসের ভিত্তিতে তৈরিঃ সিলিকন চিপ ।

বর্তমানে কম্পিউটারে যে চিপ ব্যবহার করা হয়, তা কি দিয়ে তৈরি: সাধারণ বালু বা সিলিকা ।

মাইক্রোপ্রসেসর: মাইক্রোপ্রসেসর শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টেস্-এর সমষ্টিমাত্র। এটি একটি I.C এর মধ্য একটি সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক সিষ্টেম। এটি প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারে। প্রত্যেকটি মাইক্রোপ্রসেসরের কতকগুলো নির্দেশ বা ইনস্ট্রাকশন থাকে যেগুলো এটি বুঝতে পারে এবং কাজে রূপান্তরিত করতে পারে।

মাইক্রোপ্রসেসর

মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার করেন: ১৯৭১ সালে ড. টেড হফ।

ক্যাপাসিটরের প্রধান কাজ: শক্তি সংরক্ষণ করা ।

Intel Pentium কি : Processor.

SIM ও RIM কি:
SIM ও RIM হল মোবাইল ফোনে মেমরি ডিভাইস।
SIM = Subscriber Identity Module
RIM= Removable Identity Module.

LED: LED-এর পূর্ণরূপ হল Light Emitting Diode যার অর্থ হল 'আলোক নিঃসরক ডায়োড।' LED হল এমন একটি অর্ধ পরিবাহীজাত কৌশল যার সাহায্যে তড়িৎ শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়।

অ্যানালগ ও ডিজিট্যাল সিগন্যাল:
Analog Signal: ইহা এক ধরনের সাংকেতিক প্রক্রিয়া, একটানা চলমান পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ যা যে কোন মাধ্যমে বিচরণে সক্ষম ।
Digital Signal: ইহা এক ধরনের থেমে থেমে যাওয়া সংকেত যা বৈদ্যুতিক সংকেত On এবং Off মত কাজ করে। ডিজিটাল সিগনাল কেবল 0 এবং 1 নিয়ে কাজ করে ।

টেলিফোন: টেলিফোন হল এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে সরাসরি কথা বলা যায় ।

ডিজিট্যাল টেলিফোনের প্রদান বৈশিষ্ট্য: ডিজিট্যাল সিগন্যালে বার্তা প্রেরণ ।

মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত তাতে মাইক্রোওয়েভ অধিকাংশ দূরত্ব কিভাবে অতিক্রম করে: ওয়েভ গাইডের মধ্য দিয়ে

টেলিফোনে শক্তির রূপান্তর:
প্রেরক যন্ত্র : শব্দ শক্তি ⇒ তড়িৎ শক্তি ।
টেলিফোন লাইন : তড়িৎ শক্তি ।
গ্রাহক যন্ত্র : তড়িৎ শক্তি ⇒ শব্দ শক্তি ।

NWD: টেলিফোনের একটি ডায়ালিং পদ্ধতি যার সাহায্যে বাংলাদেশের এক জেলা হতে অন্য জেলায় কথা বলা যায়। NWD এর পূর্ণরূপ হল National wide dialing.

ISD: International Subscriber Dialing. টেলিফোনের একটি ডায়ালিং পদ্ধতি যার সাহায্যে বাংলাদেশের বাহিরে কথা বলা যায় ।

টেলিগ্রাফ: টেলিগ্রাফ হল এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে সাংকেতিক ভাষায় সংবাদ প্রেরণ করা হয়।

মোর্স সংকেত বা মোর্স কোড : টেলিগ্রাফে ব্যবহৃত সংকেতগুলোকে আবিষ্কারক বিজ্ঞানী স্যামুয়েল মোর্সের নামানুসারে মোর্স সংকেত বা মোর্স কোর্ড বলা হয়।

টরে-টক্কা:
টরে : হ্রস্ব শব্দ;
টক্কা : দীর্ঘ শব্দ

টেলেক্স: টেলেক্স পদ্ধতি হচ্ছে মোর্স কোডের উন্নত সংস্করণ। টেলেক্স পদ্ধতিতে টরে-টক্কা যন্ত্রটি একটি পূর্ণাঙ্গ টাইপ রাইটারের স্থলাভিষিক্ত হয়। সংকেত গ্রহণ ও প্রদর্শন উভয় ক্ষেত্রেই টাইপ রাইটার (বৈদ্যুতিক) ব্যবহার করা হয়। এটি টেলিপ্রিন্টার, টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোনের সমন্বিত ব্যবস্থা ।

ফ্যাক্স: ফ্যাক্স শব্দের পূর্ণরূপ ফ্যাক্সমিলি (FAXCIMILE)। এটি একটি ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা যা দ্বারা দূরবর্তী স্থানে ছবি ও লেখা পাঠানো যায় ।

ইন্টারনেট: ইন্টারনেট শব্দটির পূর্ণ অর্থ হলো Inter Connected Networks. বিভিন্ন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদানের প্রযুক্তিকে বলা হয় ইন্টারনেট। ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট চালু হয় । এই মুহুর্তে পৃথিবীর প্রায় নয় বিলিয়ন বা কম্পিউটার বা অন্য কোন ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত এবং এ সংখ্যাটি প্রতিদিনই বাড়ছে।

ব্যবহার:
১) ইন্টারনেট তথ্যের ভান্ডার। যেকোন তথ্য পাওয়া যায় এখান থেকে ।
২) ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা যায় ।
৩) VOIP এর মাধ্যমে বিশ্বের কোন প্রান্তে কথা বলা যায় ।
৪) অনলাইনে চিকিৎসা সেবা ও ব্যবসা করা সম্ভব।
৫ ) অনলাইনে পড়া এবং সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়।
৬) বিশাল নেটওয়ার্কের জন্য নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স, ওয়ারলেস এবং ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে।

E-mail (ই- মেইল): E mail এর পূর্ন নাম হচ্ছে Electronic maiL. ই-মেইল বলতে বোঝায় কম্পিউটার, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ইত্যাদি ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একজন বা অনেকজনের সাথে ডিজিটাল তথ্য বিনিময় করা। ১৯৭১ সালে প্রথম ই-মেইল পাঠানো হয়।
জনক: রেমন্ড স্যামুয়েলসন টমলিনসন।

রাডার: রাডার এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে রেডিও প্রতিধ্বনির মাধ্যমে দূরবর্তী কোন বস্তুর উপস্থিতি, দূরত্ব ও দিক নির্ণয় করা যায়।

RADAR শব্দের পূর্ণরূপ: Radio Detection And Ranging

রাডার এর ব্যবহার:
ক) যুদ্ধে ব্যবহারঃ
দূর পাল্লায় শত্রু বিমান বা শত্রু জাহাজ খুঁজে বের করতে রাডার ব্যবহার করা হয়।
আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক যুদ্ধাস্ত্রের সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাডার ব্যবহৃত হয়।
মিশাইল ব্যবস্থাকে ব্যবহারের নির্দেশনা ও আদেশ দানে ব্যবহৃত হয়।
খ) শান্তিকালীন ব্যবহারঃ
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ।
সামুদ্রিক জাহাজ নিয়ন্ত্রণ ও সমুদ্র বন্দরের নিকট জাহাজের গতি নিয়ন্ত্রণ ।
বিমানের উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণ ।
চাঁদ ও নিকটবর্তী গ্রহদের নিয়ে গবেষনা ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির পূর্বাভাস।

যে যন্ত্রকে ইলেকট্রনিক চক্ষু বলা হয়: রাডার ।

যে যন্ত্রকে ইলেকট্রনিক মস্তিষ্ক বলা হয়: কম্পিউটার।

স্ক্যানিং: টেলিভিশনে ছবি প্রেরণের সময় ছবিকে যে পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয়, তাকে স্ক্যানিং বলা হয় ।

পিকসেল এর পূর্ণরূপ: পিকচার ইলিমেট (Picture element)

এফ.এম রেডিও: বিশেষ ধরনের রেডিও যাতে টেলিভিশনের শব্দও শোনা যায় ।

LASER এর পূর্ণরূপ : Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation
লেজার রশ্মি আবিষ্কার করেন: মাইম্যান, ১৯৬০।

LASER রশ্মির বৈশিষ্ট্য:
১. এ রশ্মি একবর্ণী হয়।
২. এ রশ্মির দশা সুসংগত হয়।
৩. এ রশ্মির তীব্রতা খুব বেশি হয়।
৪. এ রশ্মি প্রায় নিখুঁতভাবে সমান্তরাল হয়।
৫. পানি দ্বারা লেজার রশ্মি শোষিত হয় না।

LASER রশ্মির ব্যবহার:
দূরত্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষার কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
নিখুঁত জরিপ কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। লেজার রশ্মির সাহায্যে পৃথিবী এবং চাঁদের দূরত্ব সঠিকভাবে নির্ণয় সম্ভব হয়েছে।
অতি সূক্ষ্ম তার ঝালাইয়ের কাজে এবং কঠিন বস্তুতে সুক্ষ্ম ছিদ্র করার কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
টেলিভিশনে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
বর্ণালী মাপন যন্ত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
শল্য চিকিৎসকরা চক্ষু ও চিকিৎসার কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহার করেন ।
জীবকোষ ও ক্রোমোজমের ওপর কোন সূক্ষ্ম গবেষণামূলক কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
রকেট এবং কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রণে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয় ।
লাইব্রেরীতে বই-এর বার কোড পাঠ এবং এবং দোকানে জিনিসপত্রের মূল্যের বার কোড পাঠের কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয়।
লেজার রশ্মি পানি কর্তৃক শোষিত হয় না। সেহেতু পানির নিচে যোগাযোগ রক্ষার কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহৃত হয় ।
ভিডিও ডিস্কসহ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের নিবিড় ডিস্ক তৈরি ও পাঠের কাজে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
একটি সুবিধাজনক দুরবীক্ষণ যন্ত্রে লেজার যন্ত্র ব্যবহার চাঁদে আলোক রশ্মি প্রেরণ করা যেতে পারে ৷ ঐতিহাসিক এ্যাপেলা-১১, চাঁদে অবতরণের সময় Kape Kennedy space স্টেশন থেকে এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছিল।

আধুনিক মুদ্রণ ব্যবস্থায় ধাতুনির্মিত অক্ষরের প্রয়োজন ফুরাইবার কারণ: ফটো লিথোগ্রাফী আবিষ্কার।

অধিকাংশ ফটোকপি মেশিন কাজ করে: পোলারয়েড ফটোগ্রাফি পদ্ধতিতে।

পোলারয়েড ফটোগ্রাফি: ‘পোলারয়েড' হল বিশেষভাবে তৈরি স্বচ্ছ মাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ আলো পাঠালে সমবর্তিত আলো পাওয়া যায়। এ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ফটোকপি মেশিন তৈরি করা হয়।

বি-৫২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এক ধরনের বোমারু বিমান ।

ব্লাক বক্স: ব্লাক বক্স বিমানে রক্ষিত ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারস । পুরো বিমানটি ধ্বংস হলেও এ যন্ত্রটি ধ্বংস হয় না। এমনকি পানিতেও নষ্ট হয় না। এ যন্ত্রে এ বিমান সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

ব্লাক বক্স

অটোমেটেড টেলার মেশিন: অটোমেটেড টেলার মেশিন ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। ১৯৩৯ সালে লুথার সিমজিয়ান, ১৯৬৭ সালে জন শোকার্ড ব্যারন এবং ১৯৬৮ সালে ডন উয়েটজেল নিজ নিজ ক্ষেত্রে ATM আবিষ্কার করেন এবং তা ব্যবহার করেন। ১৯৮০ সালের শেষের দিকে ATM ব্যাংকিং কার্যক্রমের মূলধারায় ব্যবহার শুরু হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে MICR Technology ব্যবহৃত হচ্ছে: ব্যাংকের চেকবই এ।

MICR Technology
নবীনতর পূর্বতন